1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদক: উচ্চবিত্তের স্বপ্নভঙ্গ, নিম্নবিত্তের গলায় ফাঁস

সুলাইমান নিলয়
৪ জুন ২০২১

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুরের মৃত্যুর পর তোলপাড় হয় সারা দেশ। হাফিজুরের বাবা গ্রামের মসজিদের ইমাম। বড় ভাইয়ের চাকরি ওষুধ কোম্পানিতে আর ছোট বোন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন।

https://p.dw.com/p/3uSCG
Kolumbien Bogota Drogenkonsum
ছবি: Getty Images/AFP/R. Arboleda

তাদের টিনের ঘর। অন্তত এক পাশের ছবিতে দেখেছি, ঘরের বেড়ায় লম্বা লম্বা করে টিন লাগানো। কোনো জানালা নেই।

এ রকম দূর গাঁয়ের একটি পরিবারের কোনো সন্তান যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে, তখন তাকে ঘিরে কেবল তার পরিবারই স্বপ্ন দেখে না, বরং আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশীরাও দেখে। আশেপাশের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীকের দেখিয়ে দেখিয়ে ছোটদের বলে, ‘ওর মতো হও'।

হাফিজুরের মৃত্যুর পর সামনে এসেছে এলএসডিকাণ্ড। এখন কি সেই প্রতিবেশীরা আর তাদের সন্তানকে হাফিজুরের মতো হতে বলবেন?

গ্রামের ছেলে-মেয়েরা উচ্চশিক্ষার জন্য শহরে গেলে মা-বাবাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। হয়ত ছেলেটা বাবাকে কৃষি কাজে সাহায্য করতো। বিকালে বিকালে বাবার দোকানে বসতো। গরুকে ঘাস খাইয়ে দিতো। কেউ অসুস্থ হলে দৌড়ে ওষুধ নিয়ে আসতো। হাঁস-মুরগীকে খাবার দিতো। আর কিছু না হোক, ছোট ভাই-বোনকে পড়াতো।

টানাটানির সংসারের কেউ একজন পড়তে শহরে গেলে এই সব কাজ বাবা-মায়ের উপর এসে পড়ে। সঙ্গে যোগ হয় মাসে মাসে খরচ পাঠানোর চাপ। একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নে বাবা-মা সেটা মেনে নেন। নিজেরা না খেয়ে হলেও মাস শেষে সন্তানের জন্য টাকা পাঠান। এমনকি যে সন্তান উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে, তার পথচলাকে অবারিত করতে মা-বাবা তাদের অন্য সন্তানদের বঞ্চিতও করেন। হয়ত ডাল-ভাত খাওয়ানোর সময় মা তার ছোট সন্তানকে বলেন, "তোর দাদা/ভাই/আপা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। একদিন সে অনেক বড় চাকরি পাবে। সেদিন আর আমাদের কোনো দুঃখ থাকবে না। বাজারের সবচেয়ে বড় মাছটা আমরা আনবো। খেয়েও তুই শেষ করতে পারবি না।”

সেই পরিবার যখন জানতে পারে, ‘তাদের সন্তান মাদকাসক্ত, তখন কয়টা আকাশ তাদের মাথায় ভেঙে পড়ে?

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. নাহিদুজ্জামান সাজ্জাদসহ এক দল গবেষক তাদের করা একটা গবেষণায় (২০১৩ সালে প্রকাশিত) উল্লেখ করেছেন যে, ৮৭ দশমিক ৫ ভাগই বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মাদক গ্রহণ করে।

হাফিজ কাদের সাথে মিশেছিলেন? অনুমান করছি, তিনি পুরান ঢাকার তাড়ির দোকানদারের কাছ থেকে মাদক গ্রহণ শিখেননি। ঢাকা শহরের অনুমোদিত বার মালিকরাও হয়ত তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মাদক গ্রহণ করতে বলেননি। তাহলে মাদকের জগতে তাকে আমন্ত্রণকারী বন্ধুরা কারা ছিল? বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক গ্রহণ কি একেবারেই নতুন ঘটনা?

দেড় দশক আগে গ্রাম থেকে এসে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি, এখানে মাদকের একটা ‘নিউ নরমাল' পরিবেশ আছে। কেবল মাদকের গ্রহণযোগ্যতাই নয়, বরং এমন ধারণা দেয়া হয় যে, মাদক গ্রহণের মাঝে একটা ‘কুল কুল' ভাব আছে।

এরপর আছে মাদকের পরম্পরা। হলের বড় ভাই, বিভাগের বড় ভাই, এলাকার বড় ভাই, রাজনীতির বড় ভাই জুনিয়রদেরকে পার্টিতে মাদক গ্রহণ শেখাচ্ছেন। আজ যে নবাগত হিসাবে মাদক গ্রহণ করছে, কাল সে আরেকজন নতুন ছেলেকে মাদক গ্রহণ করতে শেখাচ্ছে। এমনকি অনেক সময় যিনি শেখাচ্ছেন, তিনি বুঝতে পারছেন না, কত ভয়াবহ একটা জিনিস তিনি ঘটাচ্ছেন। যিনি শিখছেন, তিনিও বুঝতে পারছেন না তার নতুন এই যাত্রার গন্তব্য।

২০০৭ বা ২০০৮ সালে এক ছাত্রনেতার সাঙ্গপাঙ্গদের এলোপাথাড়ি হামলার শিকার হয়েছিল সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তখন ছাত্রদলের দখলে ছিল ক্যাম্পাস। হামলাকারী ছাত্রনেতা একটি হলের ছাত্রদলের সভাপতি। তার একক দখলে সেই হল। সেদিন মার খাওয়াদের কেউ হামলাকারী ছাত্রনেতাকে চিনতেও পারেননি। টুকটাক সাংবাদিকতা করা এসব শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের পরিচিত সব নেতাকে চিনতেন। তাহলে তাকে কেন চিনলো না?

কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, সেই ছাত্রনেতা আসলে নেশাগ্রস্ত। এতটাই নেশাগ্রস্ত যে, তিনি নিজ দলের কর্মসূচিতেও আসেন না। মনে করেন, তার নাম কিসমত। তাকে ডাকা হতো ডাইল কিসমত নামে। পরে আস্তে আস্তে জানতে পারি, কেবল মাদকগ্রহণই নয়, তাদের আড্ডার লোকজনের রয়েছে মাদকের ব্যবসাও। ক্যাম্পাসের বাইরের লোকজনও এদের ক্রেতা।

তখন ফেন্সিডিল ছিল দেশের সবচেয়ে প্রচলিত মাদক। এই ফেন্সিডিলকেই ডাইল বলা হতো। এটি অল্প পয়সার মাদকও।

তবে ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বহুল প্রচলিত মাদক ছিল গাঁজা। ১০/২০টাকায়ও গাঁজা কেনা যেতো। অনেকের মতে, এটা সিগারেটের চেয়েও সস্তা ছিল।

মাদকের প্রথম  ব্যবহার অধিকাংশ সময় কৌতুহলে ভরা থাকতো। দেখি কেমন লাগে- এরকম একটা ভাব। জন্মদিন,নতুন প্রেম, চাকরি, ভালো ফল, এমনকি ব্রেকাপের পার্টিতেও মাদকের আয়োজন চলতো। এসবের আয়োজন ও অংশগ্রহণকে নানাভাবে ‘কুল' ব্যাপার হিসাবে দেখা হতো।

এ সব আয়োজন থেকে দুই ধরনের ব্যাপার ঘটতো। একদলের কাছে এটা কেবল একদিনের উপলক্ষ্য হিসাবেই থাকতো। আর আরেক দল ধীরে ধীরে এটার উপর নির্ভরশীল হয়ে যেতো।

যেমন: একবার এসএম হলের চার শিক্ষার্থী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। রাতে থানায় গিয়ে দেখি, একজন আমার মুখচেনা পরিচিত। তাকে বেশ ভদ্র ছেলে বলে জানতাম। এ রকম একটা ছেলে ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়বে-এটা কল্পনাই করা যায় না।

কিন্তু তারপরও কেন এমন হলো- এটা আমাকে বেশ পীড়া দিচ্ছিলো। পরে সেই গ্রেপ্তারকৃতদের সাথে কথা বলতে বলতে (থানা হাজতের বন্দিদের সাথে বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায়) এক পর্যায়ে জানতে পারি, তারা আসলে মাদক গ্রহণ করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ঋণের টাকা শোধ করতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে ছিনতাই করার উদ্যোগ নেয়। এরা ছাত্রলীগের জুনিয়র পর্যায়ের কর্মী ছিল।

আমাদের সময়ে গেস্টরুম কালচার আরো কড়া ছিল। সেখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কালচার শেখানো হতো। তত্ত্বীয় জ্ঞানের পর তাদেরকে টিম ভাগ করে দিয়ে নানা কাজে পাঠানো হতো। এরা প্রতিপক্ষকে মারধর করলে, বাইরের কারো সাথে মারামারি হলে-সেটা পারফর্মারের পিঠ চাপড়ে দেয়ার মতো ব্যাপার হতো।

এসএম হলের সেই শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাপারটা এ রকম ছিল যে, ক্যাম্পাসে যেহেতু আমি কাউকে মারতে পারি, জবাব দিতে হয় না, তাই মেরে মানিব্যাগটা নিয়ে গেলেও কিছু হবে না।

সংবাদপত্রের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত রিপোর্টগুলোতে নজর রাখলেও দেখবেন, এখানে অনেক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধেই মাদক সংক্রান্ত নানা অভিযোগ রয়েছে। এমনিতে মাদক সংশ্লিষ্টতায় খুব বেশি সমস্যা না থাকলেও নিউজ হলে তারা কিছুটা বেকায়দার পড়তেন। ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক এক কেন্দ্রীয় সভাপতি পদ পাওয়ার বেশ আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদকসহ পুলিশের হাতে পড়েছিলেন। এটা নিয়ে নিউজও হয়েছিল। এটা তার কেন্দ্রীয় সভাপতি হতে কোনো বাধা হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এত সব সামাজিকীকরণের একেবারে বাইরে আইবিএ।  আইবিএ'র ক্যাম্পাস মধুর ক্যান্টিনের সাথে থাকলেও এখানকার শিক্ষার্থীরা থাকে ফার্মগেটের কাছাকাছি আইবিএ হোস্টেলে। আইবিএ'র সামাজিকীকরণ নিয়ে নানা গল্প আছে ক্যাম্পাসে। পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোথায় পড়ো? জবাব মিলবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যাললে। কিন্তু আইবিএর'র কাউকে একই প্রশ্ন করা হলে জবাব মিলবে, আইবিএ। এদের আড্ডার জায়গা আলাদা। আইবিএ'র খুব কম শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ধারার আড্ডা-গল্পে দেখা যেতো। এর কারণ সম্ভবত শিক্ষার্থীদের পরিবারের অর্থনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ইউনিটগুলোর যে কোনো ভর্তি পরীক্ষার দিন ক্যাম্পাস লোকে লোকারণ্য হয়ে যেতো। এক সময় আইইআরে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হতো। সেদিন ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষার কথা বোঝাই যেতো না। তবে পরিসরে ছোট হলেও আইবিএ'র ভর্তি পরীক্ষা বোঝা যেতো। কারণ, সেদিন পুরো ক্যাম্পাস যেন বৃহৎ গাড়ি পার্কিং-এ পরিণত হতো। মল চত্বরের মত বিশাল অঙ্গনে দেখতাম, ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা।

অর্থনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডে এ রকম চোখে পড়ার মতো পার্থক্যের কারণে এখানকার মাদক গ্রহণের অবস্থাও ভিন্ন। যতদূর জানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টুকটাক ইয়াবা সংশ্লিষ্ট যতগুলো ঘটনা রয়েছে, এগুলো আগে ঢুকেছে আইবিএ'তে। ক্যাম্পাসে মাদকদ্রব্য গ্রহণ যেখানে লুকিয়ে হতো, সেখানে আইবিএতে ছিল অনেকটা প্রকাশ্যে। এমনকি দিনের বেলাতেই। তবে এরা পুলিশের ঝামেলায় পড়তো না। বড়লোকদের পোলাপান বলে এটা হয়ত তাদের ছাড়।

DW | Muha Suliman
সুলাইমান নিলয়, সাংবাদিকছবি: privat

আইবিএ'র এই পরিস্থিতির সাথে মিলবে প্রাইভেট অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানেই বড়লোকদের ছেলে-মেয়েরা পড়ে, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। খুব সম্ভবত বাংলাদেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সংখ্যাই এখন আসে মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে। সেমিস্টারের টাকা জোগাড় করতে এদেরকে নানাভাবে সংগ্রাম করতে হয়। এই অংশের যাদের সাথে মাদকের পরিচয় ঘটে, সেখানে মিল পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ধারার সাথে। তবে এখানে যেহেতু ক্যাম্পাসের মতো ছাত্র রাজনীতি নেই, তাই ছাত্র রাজনীতি সংশ্লিষ্ট মাদকতাও নেই। রাজনীতির যোগ না থাকায় এদেরকে নিয়ে নিউজও হয় কম।

তবে টাকা হিসেব করে খরচ করতে হয় না-এমন শিক্ষার্থীও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক। খুব সম্ভবত এ কারণে দামি দামি মাদকদ্রব্য প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়। সাম্প্রতিক সময়ের দামি এলএসডিও এর প্রমাণ।

লেখার শুরুতে যে গবেষণার কথা বলেছিলাম, সেটাতে আরো বলা আছে, বাংলাদেশে মাদক গ্রহণে প্রতিদিনকার ব্যয় ১ দশমিক ৯ ডলার থেকে ৩ দশমিক ১ ডলার। এই টাকা জোগানো সবার পক্ষে সম্ভব না। মনে রাখতে হবে, ১ দশমিক ৯ ডলারের সীমাটা দারিদ্রমুক্তিরও সীমা। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, কেউ এর চেয়ে বেশি আয় করলে তাকে দরিদ্র ধরা হয় না। তার মানে বাংলাদেশের কোটি মানুষ যত টাকায় জীবন নির্বাহ করে, অন্তত তত টাকা অনেকে মাদকের পেছনে ব্যয় করে। সেটা নিশ্চয়ই অন্তত খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের পূরণের পর করতে হয়। সর্বোচ্চ ব্যয়ের স্তর আরো অনেক বেশি। সর্বোচ্চ ব্যয়ের সীমার চেয়েও বেশি টাকা অনেকে নিশ্চয়ই ব্যয় করেন। আমার ধারণা, এই শ্রেণির অর্থনৈতিক সামর্থ অনেক বেশি হওয়ার কারণে মাদকে ব্যয়ের সামর্থও বেশি। এদের জীবনযাপনেই মাদককে ‘কুল' হিসাবে দেখানোর বীজ রয়েছে। বিষয়টা অনেকটা এরকম- এই ‘কুল' ছেলেমেয়েরা মাদক গ্রহণ করে, তোমরাও এটা করলে ‘কুল' হয়ে যাবা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ওই ছেলেমেয়েরা মাদক গ্রহণ না করলে তারা আরো বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতো। এদের একটা অংশ পরে মাদক ব্যবসায়ীও হয়। আমি তাদের কথা বলছি না।

এভাবে মাদক ধনী পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে দিচ্ছে আর দরিদ্র পরিবারের গলায় ফাঁস পরিয়ে দিচ্ছে।

এ অবস্থা থেকে বের হতে মাদক ব্যবসা ও মাদকের সামাজিকীকরণের পরম্পরা ভেঙে দিতে হবে। সেই সঙ্গে এটাকে ‘কুল' হিসাবে দেখানো বন্ধ করতে হবে। জন্মদিন, চাকরি, পাওয়া, প্রেম হওয়া, বিয়ে হওয়া, ব্যাচেলর পার্টি, বাইক কেনার পার্টির মতো ছোট-বড় আয়োজন থেকে মাদকদ্রব্যকে তাড়াতে হবে।

মাদকাসক্তের সংখ্যা জানতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট একটি সমীক্ষা করেছিল। প্রথমবারের মতো করা সেই সমীক্ষার ফল পাওয়া যায় ২০১৮ সালে। সেখানে দেখা যায় ৩৬ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এদেরকে পেছনে রেখে দেশ কি এগোতে পারবে?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য