‘ক্ষুদ্র স্বার্থে আন্দোলন’
২৬ জুলাই ২০১২বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ডিডাব্লিউর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এই শিক্ষক অধ্যাপনা ছাড়াও নগর নিয়ে গবেষণা করে থাকেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক পরিস্থিতি তিনি মঞ্জুরী কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে দেখেছেন৷ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র কিংবা অভিভাবকদের প্রতিনিধিত্বের কোন ব্যবস্থা নেই৷ তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইন অনুযায়ী ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব রাখার বিধান রয়েছে বলে জানান তিনি৷ তার মতে, বর্তমান সরকারের ওপর এই ব্যাপারে বেশি চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ তারপরও গণতান্ত্রিক রীতি মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত, যদিও বিষয়টি অত্যন্ত জটিল৷
শিক্ষক রাজনীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি ছিল জাতীয় ইস্যু কিংবা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে৷ তবে বর্তমানে অনেক সময় নিজেদের স্বার্থের বিষয়টি চলে আসছে৷ এর কারণ হিসেবে ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকার কথা উল্লেখ করেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম৷
গত কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে শিক্ষক রাজনীতির ভূমিকা থাকতে পারে৷ যেমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির বাইরেই আরেকটি শিক্ষক ফোরাম আন্দোলন করছে৷ এটা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত স্বার্থ কিংবা বৃহত্তর রাজনীতির অংশ হিসেবে ঘটতে পারে৷ আর ছাত্ররাও তাদের নিজস্ব দাবির বাইরেও অনেক সময় অন্যায্য দাবি নিয়েও আন্দোলন করে৷ এই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সচেতন হয়ে শুরু থেকে এটি মোকাবিলা করলে তেমন সমস্যা হয় না, বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম৷ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন দেওয়ার জন্য তিনি নতুন উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেনের প্রশংসা করেন৷ অন্যদিকে তিনি জানান, উপাচার্য প্যানেলের যে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে৷
সাক্ষাৎকার: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক