মহাশূ্ন্যে বানর পাঠিয়ে ধাপ্পাবাজি?
ইরানের নিজস্ব বিবৃতি অনুযায়ী, সেদেশ ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি বানরকে যাত্রী করে মহাশূন্যে রকেট পাঠিয়েছে এবং সেটিকে আবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরত নিয়ে এসেছে৷ কিন্তু ব্যাপারটায় একটা গোলমাল আছে৷
যাত্রা শুরুর অপেক্ষায়
‘কাওয়শগর’ ক্যাপসুলটি একটি অপরিচিত স্থানে ভ্রাম্যমাণ লঞ্চ-প্যাডে দাঁড়িয়ে, যাত্রা শুরুর অপেক্ষায়৷ যাত্রী হিসেবে একটি বানরের ভিতরে থাকার কথা৷
চুপচাপ বসো...
যাত্রা শুরুর আগে বানরযাত্রীর ছবি৷ তার নাম রাখা হয়েছে আফতাব বা সূর্য৷
এবার সামলে
নভোচারীর পোশাকে আফতাব৷ বেঁধেছেদে রাখায় তাকে খুব খুশি দেখানোর কথা নয়৷ ডান চোখের উপর আঁচিল কিংবা জরুলটা খেয়াল করবেন৷
বানরযাত্রীর কি অবস্থা?
২৮শে জানুয়ারি ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলি মহাকাশযানের সফল যাত্রা শুরুর খবর দেয়৷
বানর নভোচারীর ধরায় প্রত্যাবর্তন
মহাশূন্যে ১৬ মিনিটের যাত্রার পর আফতাব বহাল তবিয়তে ধরাধামে প্রত্যাবর্তন করেছে, বলে ইরানি সংবাদ সংস্থাগুলি জানায়৷ ইরানের মহাকাশ অভিযান কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন, যেখানে আফতাব নাকি সাংবাদিকদের হাসির খোরাক জুটিয়েছে, বলে সরকারি ইসনা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে৷
ধকলের কোনো লক্ষণ নেই আফতাবের
অতো বড় মহাকাশযাত্রার পরেও আফতাব টপ ফর্মে, সেটা কি করে সম্ভব? বানর নভোচারীকে একটু ভালো করে দেখা দরকার...
বদলে গেছে আফতাব!
সত্যিই, মহাকাশযাত্রার ফলে যেন আফতাবের বয়স কমে গেছে৷ ডানচোখের ওপর জরুলটা উধাও হয়েছে৷ গোঁফদাড়ি আগে সাদাটে ছিল, এখন ঘন বাদামি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
এমন একটি ‘আশ্চর্য’ সাফল্য
ইরানের মহাকাশযাত্রা সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান মোহাম্মেদ ইব্রাহিমি (ডানদিকে; বাঁয়ে রয়েছেন হামিদ ফাজেলি, মহাকাশযাত্রা কর্তৃপক্ষের প্রধান) যেন নিজেই সেটা পুরোপুরি বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না...