1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহারণে ২৬ বিরোধী দল বনাম এনডিএ-র ৩০ দল

১৭ জুলাই ২০২৩

পাটনার পর এবার বেঙ্গালুরু। ভোট-কৌশল ঠিক করতে বিরোধী শীর্ষনেতাদের বৈঠক। এনডিএ-র বৈঠক মঙ্গলবার।

https://p.dw.com/p/4Tz6z
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠক ডেকেছেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠক ডেকেছেন। ছবি: Pradeep Gaur/SOPA/Zuma/picture alliance

লোকসভা নির্বাচনের জোট-প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দিয়ে ২৬টি বিরোধী দলের শীর্ষনেতারা  সোমবার বৈঠকে বসছেন। এই বৈঠকেই ঠিক হতে পারে বিরোধী জোটের নাম কী হবে?  ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি এখন তৈরি করতে কোনো সাব কমিটি করা হবে কি না।

এই বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু আপের শর্ত ছিল, কংগ্রেসকে আগে জানাতে হবে, দিল্লির প্রশাসনিক উচ্চপদে আমলাদের নিয়োগ করার ক্ষমতা লেফটোন্য়ান্ট গভর্নরের হাতে দেয়া নিয়ে মোদী সরকার যে অর্ডিন্যান্স এনেছে, তার বিরুদ্ধে তারা সংসদে ভোট দেবে।

সংসদীয় দলের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনার পর কংগ্রেস জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী যে কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে। কিন্তু এই কথায় কেজরিওয়াল খুশি হননি। তখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যোগাযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে। তারা তাকে বোঝান, স্পষ্টভাবে অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করার কথা যেন কংগ্রেস ঘোষণা করে। নাহলে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরবে।  আপ বৈঠকে যোগ দেবে না। তার দায় কংগ্রসের উপর পড়বে।

এই বোঝানোতে কাজ হয়। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল এরপর জানিয়ে দেন, কংগ্রেস ওই অর্ডিন্য়ান্সের বিরোধী। এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে যখন বিল আসবে, তখন কংগ্রেস অবশ্যই তার বিরোধিতা করবে। এই ঘোষণার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কেজরিওয়াল জানিয়ে দেন, আপ বৈঠকে যোগ দেবে।

বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, এম কে স্তালিন, নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, হেমন্ত সোরেন, উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, সীতারাম ইয়েচুরি-সহ আরো অনেক নেতা।

উদ্ধবের দলের নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, ''ইভিএম এবং আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে। কথা হবে জোটের নাম নিয়েও।'' 

এই বৈঠক দুইদিন ধরে চলবে। সোমবার সন্ধ্যায় একবার বৈঠক হবে। তারপর সোনিয়া গান্ধী বিরোধী নেতাদের নৈশভোজে ডেকেছেন। মঙ্গলবার বৈঠক চলবে।

বেঙ্গালুরুতে তাজ ওয়েস্ট এন্ডে এই বৈঠক হবে। হোটেলের সামনেই বিশাল ব্যানার লাগানো হয়েছে। তাতে মমতা, কেজরিওাল, নীতীশ, পাওয়ার-সহ ২৪টি বিরোধী দলের নেতাদের ছবি রয়েছে। তারা একসঙ্গে কীভাবে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন, তা দেখার জন্য মানুষের একটা আগ্রহ আছে। বিরোধী নেতারা ঠিক করেছেন, তারা বিরোধের বিষয়গুলিকে পাশে সরিয়ে রেখে মতৈক্য়ের বিষয়গুলি নিয়েই এখন চলবেন।

এনডিএ-র বৈঠক

মঙ্গলবার বিরোধীরা যখন বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে ব্যস্ত থাকবেন, তখন দিল্লিতে বসবে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বৈঠক। এনডিএ-তে এখন ২৪টি দল আছে। আরো ছয়টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়ছে। তার মধ্যে আছে চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি, জিতনরাম মাঝির হাম, উপেন্দ্র কুশ্বাহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি, মুকেশ সাহনির বিকাশশীল ইনসাফ পার্টি। বিজেপি-র বাকি শরিদকদের মধ্যে বড় দল বলতে এআইএডিএমকে ও শিবসেনা(শিন্ডে)। এছাড়া আছে, পিএমকে, আপনা দল, অকালি দল(ঢিন্ডসা), অগপ, আজসুর মতো একগুচ্ছ দল। তাছাড়া এনডিপিপি-সহ উত্তরপূর্বের প্রচুর দল এনডিএ-তে আছে।

এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন।

একই দিনে দুইটি প্রধান জোটের বৈঠক হবে। এরপর লোকসভা নির্বাচনের জোট-ছবি  বেশ কিছুটা স্পষ্ট হতে পারে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)