মস্কোয় মারা গেল ‘হিটলারের কুমির‘
২৫ মে ২০২০রাশিয়ার মস্কো চিড়িয়াখানায় ৮৪ বছর বয়সে কুমিরটি মারা যায়৷ শনিবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেটির মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলে, ‘‘প্রাণীরা যুদ্ধ বা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়৷''
১৯৪৩ সালের ২৩ নভেম্বর বোমা হামলার সময় বার্লিনের একটি চিড়িয়াখানা থেকে স্যাটার্ন নামের ওই কুমিরটি বেরিয়ে গিয়েছিল এবং যুদ্ধের পুরোটা সময় সাড়ে তিন মিটারের ওই প্রাণীটি নিজে নিজেই বেঁচে ছিল৷ ১৯৪৬ সালে বৃটিশ সেনারা সেটিকে খুঁজে পায়৷
যুদ্ধের বছরগুলোতে স্যাটার্ন কিভাবে টিকে ছিল তা কেউ জানে না৷ খুঁজে পাওয়ার পর সেটিকে মস্কোর চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেন, কুমিরটি দীর্ঘায়ু লাভ করেছে এবং বুড়ো হয়ে মারা গেছে৷
‘‘প্রকৃতিক পরিবেশে এ ধরনের কুমির সর্বোচ্চ ৫০ বছর বাঁচে৷’’
মস্কো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ টুইটারে স্যাটার্নের একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছে, ‘‘স্যাটার্নকে ৭৪ বছর রাখতে পেরে মস্কো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সম্মানিত বোধ করছে৷ সে আমাদের অনেককে শিশুকাল থেকে চেনে৷ আশা করি আমরা তাকে হতাশ করিনি৷''
হিটলারের পোষাপ্রাণী
স্যাটার্নকে মস্কোতে নিয়ে যাওয়ার পর গুঞ্জন ছিল, বার্লিন চিড়িয়াখানার নয় বরং সেটি হিটলারের পোষাপ্রাণী ছিল৷ যদিও ওই গুঞ্জনের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ সম্ভবত, স্যাটার্ন ১৯৩৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয় এবং সেখান থেকে সেটিকে বার্লিনে আনা হয়৷
বিবৃতিতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘‘মস্কোতে আনার পরপরই কুমিরটি হিটলারের কাছে ছিল বলে গল্প রটে গিয়েছিল৷ জার্মানিতেও এই গল্প রটে৷
‘‘এটা আসলে গল্পই, এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই৷ আর যদি সত্যই কুমিরটি কারো পোষা হয়েও থাকে.....তবুও যুদ্ধ বা রাজনীতির সঙ্গে প্রাণীদের কোনো সম্পর্ক নেই৷ তাই মানুষের পাপের বোঝা সেটির উপর চাপানো খুব হাস্যকর৷''
এসএনএল/কেএম (এপি, ডিপিএ)