1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ

৩১ মে ২০১৮

নাটকীয় হত্যাকাণ্ডে ‘মৃত্যু' সত্ত্বেও একদিন পরে বহাল তবিয়েতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হলেন রুশ সাংবাদিক৷ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2ygpb
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেংকোর সঙ্গে রুশ সাংবাদিক আর্কাডি বাবচেংকো
ছবি: Reuters/Ukrainian Presidential Press Service/M. Lazarenko

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের বিরোধী বলে পরিচিত ৪১ বছর বয়সি রুশ সাংবাদিক আর্কাডি বাবচেংকো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে থাকেন৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায়, তাঁকে নিজের ফ্ল্যাটেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ তাঁর স্ত্রী রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিয়েছেন৷ ইউক্রেনের সরকারের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা ওইসিডি এই ‘হত্যাকাণ্ডের' কড়া সমালোচনা করেছিল৷

বুধবার ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাবচেংকো উপস্থিত হন৷ তিনি বলেন, গোটা ঘটনা ছিল সাজানো নাটক৷ তবে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের খবরটি অবশ্যই সত্য৷ রাশিয়ার সেই হামলা থেকে তাঁকে বাঁচাতেই ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এই নাটক সাজিয়েছিল৷ ফলে তিনি ঠিক সময়ে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন৷ এর জন্য তিনি ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷ বাবচেংকো গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন৷ বিশেষ করে নিজের স্ত্রী'র ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার জন্যও তিনি ক্ষমা চেয়েছেন৷ এসবিইউ দাবি করেছে যে, তারা বাবচেংকোসহ ইউক্রেনে ৩০ জন ব্যক্তির হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর পেয়ে সেই প্রচেষ্টা বানচাল করতে অভিযান চালিয়েছিল৷

বাবচেংকোকে ঘিরে নাটকের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা নতুন এক মাত্রা পেলো৷ ২০১৪ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া-সমর্থিত এক সরকারের পতনের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে৷ তখন থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের ঘনিষ্ঠ বর্তমান সরকার ও ক্রেমলিনের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে৷ বাবচেংকোর ঘটনার পর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম তীব্র শ্লেষ প্রকাশ করে লিখেছে যে, ইউক্রেন প্রচারণার উদ্দেশ্যে গোটা ঘটনাটি সাজিয়েছে৷

পুটিনবিরোধী অনেক সাংবাদিককে গত কয়েক বছরে হত্যা করা হয়েছে৷ তাই বাবচেংকোর দাবি বিশ্বাসযোগ্য বলে অনেকে মনে করছেন৷ রুশ প্রশাসন অবশ্য বার বার এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ বাবচেংকোকে ঘিরে ইউক্রেনের ভূমিকারও প্রবল সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ সাংবাদিকদের কিছু সংগঠনের অভিযোগ, এর ফলে সাংবাদিকদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং রুশ প্রশাসন প্রচারণার নতুন হাতিয়ার পেয়ে গেছে৷

‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স' সংগঠন ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকার প্রবল সমালোচনা করেছে৷ সংগঠনের মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্র তথ্য নিয়ে খেলা করলে বিষয়টি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়ে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)