‘মরে যেতে হলে মরে যাব, তবুও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই'
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ডয়চে ভেলের ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন ইশরাক হোসেন৷ বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া এবং বিএনপির এখনকার আন্দোলনের লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বিএনপির মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র ফেরত আনা৷ সেজন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা দরকার এবং বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়৷ তাই বিএনপির এমন সিদ্ধান্ত৷
ইশরাক বলেন, ‘‘এই সরকার আমাদের কোন ‘স্পেস' দিচ্ছে না৷ আমরা সকল কিছু সহ্য করে লড়াই করে জনগণকে সাথে নিয়ে এখন একটা শক্তি তৈরি করে কমর্সচূচি পালন করে যাচ্ছি৷''
তিনি যোগ করেন, ‘‘আমাদের যদি আরো এক লাখ কর্মীও মেরে ফেলে আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না৷''
আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে আলোচনায় আসতে চায়, তাহলে তা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি৷
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী৷ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন বাদ দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুত্থান সম্ভব নয়৷ সেজন্য আলোচনার বিকল্প নেই৷''
শামীম হায়দার বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক দলকে ভোট করতে হবে৷ ভোট বর্জন করা মানেই পাঁচ বছরের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যাওয়া৷ অথবা ওয়ান ইলেভেনের মত অবস্থা তৈরি হতে পারে৷ একটি রাজনৈতিক দলের কাছে নিশ্চয়ই ওয়ান ইলেভেনের পরিস্থিতি কাম্য নয়?''
তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারলেও ক্ষমতা ছাড়া বাঁচতে পারবে না৷ তাই বিএনপি যা চাইছে, তেমন পরিস্থিতি তৈরি হোক তা তারা হতে দেবে না৷ সুতরাং সবাইকেই ছাড় দিতে হবে৷''
এবারের পরিস্থিতিও ২০১৪ বা ২০১৮-র মতো নয় বলে মনে করেন তিনি৷
‘‘আওয়ামী লীগ দরজা খুলে দেয়নি, অথচ রাষ্ট্রদূতরা অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশে চষে বেড়াচ্ছে, কথা বলে বেড়াচ্ছে, সরকারের সাথে দেখা করে বেড়াচ্ছে... নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সব জায়গায় যাচ্ছে৷ এর অর্থ তারা নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি, নির্বাচনের দিনের পরিস্থিতি ও পরের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে৷ এটা ২০১৮ বা ২০১৪ সালে ছিল না,'' বলেন গাইবান্ধা-১ আসনের এই সংসদ সদস্য৷
জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘‘বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে বলেই বিদেশিরা বাংলাদেশে এতটা তৎপর হতে পারছে৷''
তবে দু'জনেই বলেন, জনগণের মুখাপেক্ষী না থেকে বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে থাকলে তা কখনোই দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে না৷
জেডএ/এআই