মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে দুই হাজার
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ১২ জন। আহতের সংখ্যা দুই হাজার ৫৯ জন। মারাকেশ-সহ বিভিন্ন শহরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরানো এখনো সম্ভব হয়নি। তাই ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসাবও পাওয়া যায়নি। আরো মানুষ ধ্বংসস্তূপের তলায় থাকতে পারেন।
মারাকেশে মানুষ এখন বাড়ির বাইরেই রাত কাটাচ্ছেন। তাদের ভয়, আবার ভূমিকম্প হতে পারে। সেটা হলে তাদের বাড়িও ভেঙে পড়তে পারে। অনেক বাড়ির অবস্থা খারাপ। সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।
রয়টার্সকে আয়াত ইলাহি বলেছেন, ''আমি বাড়ির ভিতরে শুতে পারছি না। আমি কর্তৃপক্ষকে বলেছি, একজন বিশেষজ্ঞকে ডেকে দেখাতে যে বাড়িতে থাকা আমার পক্ষে নিরাপদ হবে কি না। যদি ঝুঁকি থাকে তো আমি বাড়িতে ফিরব না।''
৬৮ বছর বয়সি লাহবাবিও পরপর দুই রাত সপরিবারে বাইরে শুয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ''খুবই কষ্টকর অভিজ্ঞতা। অনেক পরিবার রাস্তার ধারে গিয়ে রাত কাটাচ্ছে।''
মারাকাশের হাসপাতালের তরফে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছিল, মানুষ যেন রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন। আহতদের বাঁচানোর জন্য প্রচুর রক্ত প্রয়োজন।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এই আবেদনের পর প্রচুর মানুষ রক্ত দিয়েছেন। এখন তাদের প্রয়োজন মিটেছে। সারাদিন ধরেই মানুষ লাইন দিয়ে রক্ত দিয়েছেন।
ফুটবল ম্যাচ
ভূমিকম্পের পর আফ্রিকান কাপে মরক্কোর ম্যাচ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। শনিবার এই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। রোববার মারাকেশে কঙ্গো ও গাম্বিয়ার ম্যাচ আছে। সেই ম্যাচ হবে বলে জানানো হয়েছে।
দুই দলই মারাকেশে আছে। গাম্বিয়ার কোচ জানিয়েছেন, ''শুক্রবার রাতে ভূমিকম্পের সময় তার মনে হয়েছিল, হোটেলে কোনো বিমান এসে ধাক্কা মেরেছে। ৩০ সেকেন্ডকে মনে হচ্ছিল অন্তহীন সময়। সেই সময় আমরা ভয়ঙ্কর ভয় পেয়েছিলাম।''
সাহায্যের হাত
ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বিশ্বের অনেকগুলি দেশ জানিয়েছে, তারা মরক্কোকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মরক্কোর রাজাকে বার্তা পাঠিয়ে বলেছে, তিনি যেভাবে চান, সেভাবেই ইইউ মরক্কোকে সাহায্য করবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিজেন্ট উরসুলা ফল ডেয়ার লাইয়েনও জানিয়েছেন, তারা মরক্কোকে সাহায্য করতে চান।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)