1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জোট সরকারের ৩ বছর

২১ মে ২০১২

মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট সরকারের সোমবার তৃতীয় বর্ষপূর্তি৷ দুর্নীতি আর শরিকি দ্বন্দ্বে জেরবার সরকারের কার্যত স্থবির অবস্থা৷ কোন বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা৷ প্রশাসন চলছে শম্বুক গতিতে৷

https://p.dw.com/p/14zMj
ছবি: REUTERS

২০০৯ সালে মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বে গঠিত দ্বিতীয় সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট সরকারকে গত বছর অনেক ঝড় ঝাপটা সামলাতে হয়েছে৷ একের পর এক কেলেঙ্কারি মাথা তুলতে দেয়নি সরকারকে৷ টু-জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ গেমস, আদর্শ আবাসনসহ নানা আর্থিক দুর্নীতি৷ তার উপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি লাগামছাড়া৷ মুদ্রাস্ফীতিতে নাভিশ্বাস আমজনতার৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৯ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭ শতাংশের নীচে৷

প্রবীণ সাংবাদিক ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এত কেলেঙ্কারি এর আগে কোন একটি সরকারের আমলে হয়নি৷ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে৷ তবে এটাও সত্যি, প্রত্যেক কেলেঙ্কারির তদন্ত করেছে, বিচারবিভাগের কাছে পাঠিয়েছে৷ সরকার আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগছিল বলেই এতগুলো কেলেঙ্কারি পর পর হয়েছে৷''

EU - Indien Gipfel in New Delhi
‘বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে’ছবি: Reuters

পাশাপাশি শরিকি আপত্তিতে ইউপিএ-দুই সরকারের নানান আর্থিক সংস্কার কর্মসূচি ঝুলে রয়েছে৷ সরকার যেসব বিল পাশ করাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কোনটাই পাশ হয়নি৷ যেমন, প্রত্যক্ষ করবিধি, পণ্য পরিষেবা, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি, বিমা বিল, পেনসন বিল এক ইঞ্চিও এগোয়নি৷ ভবিষ্যতে এগোতে পারবে বলে মনে হচ্ছেনা৷ অন্তত ২০১৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে৷ সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু তাই মনে করেন৷

কোন বড় পদক্ষেপ নিতে গিয়েও পারছেনা সরকার জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায়৷ যেমন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি৷ বাধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস৷ যেমন, জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র স্থাপন৷ বাধা শরিক দলগুলি৷ মনমোহন সিং সরকারের ভাবমূর্তি তলানিতে৷

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ সেকথা বললেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, ‘‘বর্তমান সরকার যেভাবে চলছে তাতে টিকে থাকা মুশকিল৷ প্রথমত কোয়ালিশনের বাধ্যবাধকতা বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের৷ এই দল কোন ইস্যুতেই সরকারকে সমর্থন করছেনা৷''

সরকারের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, মনমোহন সিংই নেতৃত্ব দেবার সবথেকে উপযুক্ত ব্যক্তি৷ নানান চাপ সত্ত্বেও তিনিই দক্ষতার সঙ্গে দেশ চালাচ্ছেন৷ সাফল্যের খতিয়ান দিতে উল্লেখ করা হচ্ছে, ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন, মাওবাদী এলাকার উন্নয়ন ইত্যাদি৷ বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আর্থিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান মজবুত৷

সিপিআই নেতা ডি.রাজা মনে করেন, সরকারের ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই৷ আগামী নির্বাচনের আগেই সরকার পড়ে যাবে৷ সময়ের অপেক্ষা শুধু৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য