1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যকালীন নির্বাচনের সম্মুখীন ইসরায়েল

দেবারতি গুহ২৮ অক্টোবর ২০০৮

ইসরায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনি জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ার পর, এবার নতুন নির্বাচনের জন্য সবুজ সংকেত দিলেন রাষ্ট্রপ্রধান শিমন পেরেজ৷ আগামী ফেব্রুয়ারীতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর৷

https://p.dw.com/p/FiVn
নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন শিমন পেরেজছবি: AP

প্রেসিডেন্ট পেরেজ জানান : খুব শীঘ্রই এই মধ্যকালীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইসরায়েলে৷ এটাই সত্যি৷ আর তাই ইসরায়েলের মানুষদের প্রতি আমার অনুরোধ - এবার আপনাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করুন৷ আপনারা কাকে এবং কি চান - তা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিন৷

ইতিপূর্বে লিভনি রাষ্ট্রপ্রধান শিমন পেরেজকে স্পষ্টতঃই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে তাঁর সরকার গঠনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ লিভনি জানান, যে তিনি কাদিমা দলের নেত্রী হিসেবে দলের বর্তমান জোট সহযোগীদের সঙ্গে আপোষ করতে প্রস্তুত ছিলেন৷ কিন্তু, জোট সহযোগীরা সব অবাস্তব দাবী-দাওয়া পেশ করায়, শেষ পর্যন্ত উগ্র সনাতনপন্থী শাস দলকে জোটে আনতে ব্যর্থ হন লিভনি৷ আর তারপরই, নতুন জোট সরকার গঠনের চেষ্টা বাদ দিয়ে প্রেসিডেন্ট পেরেজকে আগাম নির্বাচন ডাকার আহ্বান জানান তিনি৷ তবে আসন্ন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কাদিমা পার্টি বিরোধী লিকুদ পার্টিকে হারাতে পারবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

গত রবিবার দৈনিক মারিভ পত্রিকা পরিচালিত একটি জনমত জরিপে বলা হয়েছ, যে নির্বাচন হলে কাদিমা পাবে ১২০-টি আসনের মধ্যে ৩১-টি, লিকুদ পার্টি ২৯-টি এবং লেবার পার্টি ১১-টি আসন পাবে৷ অথচ, আহরোনোত পত্রিকা দ্বারা প্রকাশিত একটি জরিপে বলা হয়েছে, যে এবারের নির্বাচনে কাদিমা পার্টি মাত্র ২৯-টি আসনে জিতবে৷ অর্থাত্ বর্তমান আসন সংখ্যার কোন রদবদল হবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে এ-জরিপে৷ এদিকে, লিকুদ পার্টি বর্তমান ১২-টির জায়গায় প্রায় ২৬-টি আসনেও জিততে পারে৷ অন্যদিকে, অলমার্ট সরকারের প্রধান মিত্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের লেবার পার্টির আসন বর্তমান ১৯-টি থেকে কমে ১১-টিতে নেমে আসতে পারে বলেও ধরে নেওয়া হচ্ছে৷


তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, লিভনি দলীয় নেতৃত্বে আসার পর থেকে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন কাদিমা পার্টির ভাগ্য নাকি ফিরতে শুরু করেছে৷ শুধু তাই নয়, দেশটিতে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ডানপন্থী লিকুদ পার্টির নেতানিয়াহুকে পরাস্ত করে লিভনিই জয়ী হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও৷

Außenministerin Livni will Nahost-Friedensprozess voranbringen
মধ্যপ্রাচ্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করতে চান সিপি লিভনিছবি: picture-alliance/ dpa

উল্লেখ্য, ইসরায়েলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনির সরকার গঠনে ঐ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি সম্পাদন করার আশারও অবসান ঘটলো৷ এ-বিষয়ে ইসরায়েলী প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ জানান : ইসরায়েল একটি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করছে৷ তবে বাস্তব পরিস্থিতিকে তো আর অস্বীকার করা যায় না৷ মনে হচ্ছে শান্তির জন্য আমাদের আরো কটা দিন সময় দিতে হবে৷ অপেক্ষা করতে হবে৷

এদিকে, যারা শান্তিচুক্তির চেষ্টা করছে, ইসরায়েলের আগাম নির্বাচনকে তাদের গালে চপটাঘাত বলে অভিহিত করেছেন উগ্রবাদী হামাস দলের এক মুখপাত্র৷ অন্যদিকে, দলীয় এক বিবৃতিতে লিভনি জানিয়েছেন, যে কাদিমা পার্টির কাছে মনে হয়েছে নির্বাচনটাই সঠিক পথ এবং এই নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে তাদের আস্থা রয়েছে৷

প্রসঙ্গত, আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই মধ্যকালীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এহুদ অলমার্টই দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে৷