1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্য ইউরোপে বন্যায় নিহত ২১

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভয়াবহ বন্যায় ইউরোপের অন্তত এক ডজন শহরের বড় অংশই পানিতে ডুবে গেছে৷ এ পর্যন্ত অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়৷

https://p.dw.com/p/4kizG
বন্যায় আক্রান্ত ইউরোপের বিভিন্ন শহর
বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে চেক-পোলিশ সীমান্ত৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই অঞ্চলের সেতু আর বাসা-বাড়ি৷ছবি: MICHAL CIZEK/AFP

পোল্যান্ডের নেস শহরের সুরক্ষায় এগিয়ে এসেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ বন্যায় আক্রান্ত ইউরোপের আর দশটি শহরের মতো এই শহরের পরিস্থিতিও ভয়াবহ৷ নদীর পানি উপচে শহরের আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল৷

ইউরোপের আরেক দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের নদীগুলো টইটুম্বুর৷ দানিয়ুব নদীর পানি উপচে পড়ছে স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরির বেশ কিছু শহরে৷ অস্ট্রিয়া এবং রোমানিয়ার কিছু এলাকাও ভয়াবহভাবে আক্রান্ত৷

সপ্তাহান্তে শুরু হওয়া বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে চেক-পোলিশ সীমান্ত৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই অঞ্চলের সেতু আর বাসা-বাড়ি৷

রাতভর পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নেস শহরের ৪০ হাজার বাসিন্দার সুরক্ষায় ভাঙা বাঁধে বালির ব্যাগ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ বুধবার দেশটির দমকল বিভাগের প্রধান জানান, শহরের বাঁধ সুরক্ষিত করা হয়েছে৷ বালির ব্যাগ স্থাপনে দেশটির সমারিক বাহিনী হেলিকপ্টার নিয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে৷

বন্যার সময়ে বাসিন্দারা বাড়ি০ঘর ছেড়ে যাওয়ায় লুটপাটের খবরও এসেছে৷ স্থানীয় বাসিন্দা সাবিনা জাকুবোভস্কা বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, তারা আমাদের মালামালের সুরক্ষা দেবে৷ কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন৷ কারণ, আমরা শুনেছি, লুটপাটকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷''

উল্লেখ্য, বন্যায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ‘বিপর্যস্ত অবস্থা' জারি করেছে পোলিশ সরকার৷ সেইসাথে আক্রান্তদের সহায়তায় এরই ম্যধে ২৬০ মিলিয়ন ইউরোর তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে৷

 চেক রিপাবলিক এবং পোল্যান্ডের হাজার হাজার বাসিন্দা এখনো বিদ্যুৎবিহীন, নেই সুপেয় পানি৷

পোলান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম শহর রোক্লো৷ অডার নদী তীরের এই শহরটির বন্যা পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে৷ শহরের মেয়র ইয়াচেক সুত্রিক বলেন, ‘‘লোকজনকে সরিয়ে নিতে আমরা বাস সরবরাহ করেছি৷ আজ আমরা বাঁধের সুরক্ষায় আরো কাজ চালিয়ে যাবো৷''

প্রতিবেশী চেক প্রজাতন্ত্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মোরাবিয়া-সেলিসিয়া অঞ্চলের গভর্নর জোসেফ বেলিচা জানান, ওই অঞ্চল থেকে এরইমধ্যে ১৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ বন্যার পানির কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া অঞ্চলগুলোতে সাহায্য পাঠাতে হেলিকপ্টার নিয়ে কাজ করছে সরকারের বাহিনী৷

বন্যার পানির প্রবাহ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে হাঙ্গেরিও৷ দেশটির ভিসেগ্রাড এবং সেন্টেন্দ্রে শহরে দানিয়ুব নদীর পানির প্রবেশ ঠেকাতে অস্থায়ী বাঁধ নির্মান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার৷ এমনকি রাজধানী বুদাপেস্টেও পানির প্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি নজর প্রশাসনের৷ হাজার হাজার বালির বস্তা বসিয়ে সরকারের সাথে সগযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন স্বেচ্ছিসেবীরা৷

স্লোভাকিয়ার পরিবেশমন্ত্রী  টোমাস টারাবা জানান, দানিযুব নদীর পানি ১০ মিটার বেড়ে গিয়ে আবার আস্তে আস্তে নামতে শুরু করেছে৷ বন্যায় সারাদেশে মোট ২০ মিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান মন্ত্রীর৷

আরআর/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য