1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মণিপুরে ব্যাপক সহিংসতা, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ

৫ মে ২০২৩

গত বুধবার মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকেই অশান্ত মণিপুর।

https://p.dw.com/p/4Qvfu
পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরে সেনা নামানো হয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরে সেনা নামানো হয়েছে। ছবি: IANS

হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে নাগা ও কুকিরা পথে নেমে সহিংস প্রতিবাদ দেখাচ্ছে। এর ফলে নয় হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। সহিংসতা দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

মণিপুরে পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি সেনাও নেমেছে। সেনা রুট মার্চও করেছে। তারপরেও উত্তেজনা কমছে না দেখে দাঙ্গাবিরোধী পুলিশের পাঁচশ জওয়ানকে মণিপুর পাঠানো হয়েছে।

কেন এই বিক্ষোভ?

মণিপুরে মেইতেইরা মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি। নাগা ও কুকিরা ৪০ শতাংশের মতো। কিন্তু একদিন মেইতেইদের আদিবাসী বলে মানা হত না। কিন্তু এবার হাইকোর্ট তাদের সেই তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দিল। ফলে এতদিন মেইতেইরা নোটিফায়েড পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারত না। এবার তারা পারবে। এটাই অন্য আদিবাসীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের দাবি, পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের দাবি, পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। ছবি: Prabhakar Mani Tewari/DW

মণিপুরের বিজেপি সরকারও কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখে মেইতেইদের উপজাতির স্বীকৃতি দেয়ার অনুরোধ করেছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানানো যেতে পারে। কিন্তু আপাতত প্রবল জনরোষের সামনে পড়েছে সরকার। সেটা সামলাতেই বিপুল পরিমাণে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

সরকারের বক্তব্য

মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। মানুষের জীবন ও সম্পত্তি বাঁচাতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বিরোধী প্রতিক্রিয়া

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ''বিজেপি ক্ষমতায় আসার ১৫ মাসের মধ্যে মণিপুর জ্বলছে। আর চোখের জল ফেলা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন কর্ণাটকের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।''

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ''আমি খুবই বিচলিত। এখন মণিপুরকে আগে বাঁচানো দরকার। রাজনীতি ও ভোট পরেও করা যাবে।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)