ভোলায় ইলিশা কূপের তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান
১৬ মে ২০২৩সোমবার সকালে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন।
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালেরহাট এলাকায় ইলিশা-১ নামের নতুন কূপে তৃতীয় স্তরের ড্রিল স্টেম টেস্ট (ডিএসটি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এ কূপের তৃতীয় স্তরের পরীক্ষা শেষে প্রতিটি স্তর থেকে দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ২০০ বিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম এ উত্তোলন কাজ করছে।
কূপে গ্যাসের চাপ ভালো বলে নিশ্চিত করে বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ কূপ খনন শুরু হয়। ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় ডিএসটি'র মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ১৪ এপ্রিল। এরপর বিভিন্ন ধাপে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনটি স্তরে গ্যাসপ্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনা দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, এটির প্রথম স্তর ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার থেকে ৩ হাজার ৪৩৬, দ্বিতীয় স্তর ৩ হাজার ২৬৮ মিটার থেকে ৩ হাজার ২৭৫ মিটার এবং তৃতীয় স্তর ৩ হাজার ২৫০ মিটার থেকে ৩ হাজার ২৫৪ মিটার। শাহাবাজপু ও ইলিশা মিলিয়ে ভবিষ্যতে আরও কূপ খনন করা হবে।
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগও জানায়, গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে আগামী অক্টোবর থেকে নতুন করে গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে ভোলা নর্থ-২ নামে একটি কূপে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।
১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে প্রথমবার গ্যাসের সন্ধান মেলে। বাপেক্স সূত্র জানায়, নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের কূপ নিয়ে জেলায় মোট ৩টি গ্যাসক্ষেত্রের রয়েছে নয়টি কূপ- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থ-এর দুইটি এবং সর্বশেষ ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রের ইলিশা-১ এর একটি কূপ। কূপগুলোতে মোট মজুদ গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুট।
জেকে/কেএম ( দ্য ডেইলি স্টার)