1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

২৬ জানুয়ারি ২০১২

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ এর আগে শেষবারের মতো ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন' ভাষণে বক্তব্য দিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ তাই ভোটারদের মন পাওয়ার চেষ্টা ছিল তাঁর বক্তব্যে৷

https://p.dw.com/p/13pdc
President Barack Obama delivers his State of the Union address on Capitol Hill in Washington, Tuesday, Jan. 24, 2012. Listening in back are Vice President Joe Biden and House Speaker John Boehner, right. (Foto:Saul Loeb, Pool/AP/dapd)
‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন' দিচ্ছেন ওবামাছবি: dapd

সারা বছর কোন বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করবে তার একটা ফিরিস্তি দেয়া হয় ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন' বক্তৃতায়৷ এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই ভাষণ দিলেন ওবামা৷ কথা বলেছেন এক ঘন্টারও কিছু বেশি সময় ধরে৷

বছর শেষে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ার জন্য লড়বেন ওবামা৷ এ লক্ষ্যে ভোটারদের কাছে যাওয়ার উপায় হিসেবে বেছে নেন এবারের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন'কে৷ তাই আন্তর্জাতিকের চেয়ে দেশীয় বিষয়াদি নিয়েই কথা বলেছেন বেশি৷

যেমন উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মধ্যে ব্যবধান কমাতে ধনীদের উপর বেশি কর কর বসানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ ধনীদের ৩০ শতাংশ কর দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ওবামা৷ অনেকদিন ধরেই তিনি একথা বলছেন. তবে আবারও এই আহ্বান জানানোয় সেটা ভোটারদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

এদিকে, অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে ওবামার এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা আগে রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রত্যাশী মিট রমনি তাঁর আয়কর রিটার্ন সবার সামনে উপস্থাপন করেন৷ যেখানে দেখা যায় মাল্টিমিলিওনেয়ার রমনি কর দিয়েছেন তাঁর আয়ের মাত্র ১৪ শতাংশ৷ যেখানে একজন সাধারণ অ্যামেরিকান কর দেন প্রায় ৩৫ শতাংশ৷

Obama Rede zur Lage der Nation Publikum
নির্বাচনের বছরে এই ভাষণের বিশেষ গুরুত্ব ছিলছবি: dapd

ওবামার বক্তব্যের পর রিপাবলিকান দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানান ইণ্ডিয়ানা রাজ্যের গভর্নর মিচ ড্যানিয়েল৷ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন৷

উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক টাইমস ও সিবি‌এস নিউজ গত সপ্তাহে একটি জরিপ করেছে৷ তাতে দেখা গেছে, মাত্র ৪০ শতাংশ অ্যামেরিকান অর্থনীতি পরিচালনায় ওবামার দক্ষতায় খুশি৷ আর সোমবার অর্থাৎ ওবামার বক্তব্যের আগে প্রকাশিত আরেক জরিপে দেখা গেছে এই হার আরও কম, মাত্র ১৩ শতাংশ৷

জাতীয় ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ তাঁর সবচেয়ে বড় দুটি সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে ওবামা বিন লাদেন হত্যা ও ইরাক যুদ্ধের সমাপ্তির কথা উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘গত নয় বছরের মধ্যে এই প্রথন কোনো মার্কিন সেনা ইরাকের মাটিতে যুদ্ধ করছে না৷ আর গত দুই দশকের মধ্যে এই প্রথম আমরা বলতে পারি যে, ওসামা বিন লাদেন অ্যামেরিকার জন্য হুমকি নয়৷''

এছাড়া লিবিয়ায় গাদ্দাফি শাসনের সমাপ্তির কথাও উল্লেখ করেন ওবামা৷ যদিও এক্ষেত্রে ওবামা ‘পেছনে থেকে নেতৃত্ব' দিয়েছেন বলে রিপাবলিকানরা তাঁর সমালোচনা করেছিল৷ আর সিরিয়া প্রসঙ্গে ওবামা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দিন শেষের দিকে৷

মেধাস্বত্ব আইন নিয়ে চীনের উপর আরও চাপ তৈরি এবং আর্থিক ক্ষেত্রে প্রতারণা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

ওবামা বলেন, বিশ্বে অ্যামেরিকার প্রভাব দিন দিন কমছে বলে যারা মন্তব্য করেন, তারা আসলে জানেন না, তারা কী নিয়ে কথা বলছেন৷ বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো এক নম্বর প্রভাবশালী দেশ বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য