1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোক্তার অভিযোগ নিষ্পত্তি হবে ‘ডিজিটাল' পদ্ধতিতে

১৫ মার্চ ২০২৩

ভোক্তার অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘কনজ্যুমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' বা সিসিএমএস৷

https://p.dw.com/p/4Oi1O
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানছবি: Samir Kumar Dey

‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী' প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বুধবার ভোক্তা অধিকার  দিবসে এ প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হবে৷ এ বছর দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হবে৷

‘কনজ্যুমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' এর মাধ্যমে ভোক্তার অভিযোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে নিষ্পত্তি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে৷ ফলে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি ছাড়া অন্যান্য প্রক্রিয়ায় ভোক্তার সশরীরে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন হবে না৷

পাশাপাশি ভোক্তার অভিযোগের বিপরীতে জরিমানা করা অর্থের ২৫ শতাংশ প্রণোদনা নগদের পরিবর্তে ডিজিটাল বা ই-পেমেন্টে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ৷

এতোদিন শুধু ঢাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চলা ‘সিসিএমএস' ব্যবস্থা ১৫ মার্চ থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে পথচলা শুরু করবে৷ এতে সফলতা দেখা গেলে পুরো দেশে তা কার্যকর করা হবে বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান৷

ভোক্তা অধিকার দিবস সামনে রেখে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, "ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনা করে ২০০৯ সালে আইনটি হয়েছে৷ এখন এ আইনের সুবিধাটি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে৷ সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়েই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ভোক্তার অধিকারের বিষয়টি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে৷”

ভোক্তা অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারলে এ দিবস পালন আরও যথাযথ হবে বলে মনে করেন তিনি৷

ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ' করা হয়৷ ২০১০ সালে এ আইনের আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর৷

প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোক্তাদের কাছ থেকে  অধিদপ্তর ৮৮ হাজার ৯১৮টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছে৷ এরমধ্যে ৮৩ হাজার ৭৯৮টি বা ৯৪ দশমিক ২৪ শতাংশ অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে৷

নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগের মধ্যে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮ হাজার ৩২৮টি৷ অর্থাৎ মাত্র ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর৷ 

এই সময়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা৷

আর বিভিন্ন বাজারে অভিযানের সময়ে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে ১০২ কোটি ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা৷ এ দুটি খাত মিলিয়ে জরিমানার মোট পরিমাণ ১০৮ কোটি ৮০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা৷

ভোক্তাদের মধ্যে ৮ হাজার ১৯৭ জন অভিযোগকারী জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ১ কোটি ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা৷

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ভোক্তাদের কাছ থেকে ১৬ হাজার ৫৪টি অভিযোগ পেয়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৮৭টি বা ৭১ দশমিক ৫৫ শতাংশের৷

নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগের মধ্যে ৬২১টি প্রতিষ্ঠান বা ৫ দশমিক ৪০ শতাংশকে জরিমানা করা হয়েছে, যার অর্থের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)