1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভেটোর এ সিদ্ধান্ত ‘ব্রিটেনের জন্য নেতিবাচক’: নিক ক্লেগ

১৩ ডিসেম্বর ২০১১

এ মুহূর্তে বিরাট সংকটে ইউরো মুদ্রার ভবিষ্যৎ৷ সংকট কাটাতে চাই কঠোর আর্থিক বিধিনিয়ম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক শীর্ষ বৈঠকে, এনিয়ে একটা চুক্তির ব্যাপারে প্রায় সবাই রাজি ছিল৷ কিন্তু বাধ সাধলো যুক্তরাজ্য৷ কিন্তু কেন?

https://p.dw.com/p/13Rbt
FILE- Britain's Prime Minister David Cameron, left, and Deputy Prime Minister Nick Clegg cross paths inside the handball arena at the 2012 London Olympic Park in London, in this file photo dated Thursday, May 12, 2011. Deep cracks seem to be emerging in Britain's coalition government on Sunday Dec. 11, 2011, with Clegg criticizing Prime Minister Cameron's move to block European Union treaty changes and leaving Britain isolated in Europe. (Foto:Matt Dunham, File/AP/dapd)
ডেভিড ক্যামেরন এবং নিক ক্লেগছবি: dapd

এই ভেটো দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন-এর৷ আর এর জন্য তাঁকে সংসদের মুখোমুখি হতে হয়৷ উত্তর দিতে হয় এমপি'দের বিভিন্ন প্রশ্নের৷ স্বাভাবিকভাবেই, নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে আপ্রাণ যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন ক্যামেরন৷ বলেন, তিনি আসলে ইইউ-র এই চুক্তিতে সায় দেওয়ার কথাই ভেবেছিলেন৷ কিন্তু তা যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এই ভাবনা থেকেই শেষ পর্যন্ত ভেটো দিয়েছেন তিনি৷ এছাড়া, দেশের জন্য তিনি যা চেয়েছেন, তা ন্যায়সঙ্গত, যুক্তিসঙ্গত ও উপযোগী – এই দাবি করেন ক্যামেরন৷ তবে ভেটো দেওয়ার পরও, ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থের জন্য ইইউ'র সদস্যপদ যে অপরিহার্য – সেটা উল্লেখ করতেও ভোলেন না তিনি৷ মনে রাখতে হবে, ইউরো সংকট সমাধানে কঠোর বাজেট নীতি বিধিবদ্ধ করার লক্ষ্যে এরকম একটা চুক্তি করার ব্যাপারে ব্রিটেন ছাড়া ইইউ'র ২৬টি দেশই রাজি হয়েছিল৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কি ছিটকে পড়বে ব্রিটেন?

ক্যামেরনের জোট সহযোগী লিবারেল পার্টির প্রধান, ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ'এর ভাষায়, ইউরো জোনকে ঋণ সংকট থেকে বাঁচানোর জন্য নতুন এক চুক্তি করার ওপর ভেটো দিয়ে ব্রিটেন মোটেও ‘ভালো কাজ করেনি'৷ কারণ, এতে করে ব্রিটেন ইইউ থেকে ক্রমেই ‘বিচ্ছিন্ন ও কোণঠাসা' হয়ে পড়তে পারে৷ তাছাড়া, বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধের কারণে দেশের জোট সরকার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ব্রিটেনের জন্য৷ আর সেটা হলে, বিশ্বব্যাপী আর্থিক অনিশ্চয়তার এ সময়ে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে ব্রিটেনে৷ বলা বাহুল্য, ইইউ'র নতুন এই চুক্তিতে বাজেট নীতি নিয়ে কড়া নিয়ম-কানুন মেনে চলার প্রস্তাব রয়েছে এবং কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে কড়া শাস্তিরও বিধান থাকবে৷ এরকম একটি চুক্তি সই হয়ে যাবে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে, জানিয়েছেন ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট হ্যারমান ফন রম্পয়৷৷

ইউরো নিয়ে এই টালমাটাল অবস্থায় শেয়ার বাজারের অবস্থা

মঙ্গলবার পর্যন্তও মার্কিন ডলারের অনুপাতে ইউরো দুর্বল ছিল৷ গত ১০ সপ্তাহের মধ্যে ইউরো মুদ্রার এমন অবনমন আর দেখা যায় নি৷ বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থাকে অত্যন্ত ‘সংকটপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল' বলে মন্তব্য করেছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তো বটেই, এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপক হারে৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য