1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভূমধ্যসাগরে ৭ বাংলাদেশি মৃত্যুর ঘটনায় ‘পাচারকারী’ আটক

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইটালি যাওয়ার পথে সাগরে প্রচণ্ড ঠান্ডায় সাত বাংলাদেশি মৃত্যু হয়৷ সেই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক পাচারকারীকে ইটালির সিসিলি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/47MQd
Mittelmeer Evakuierung Familie von Sea Watch 3
ঝুঁকিপুর্ণ নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে প্রায়ই ইউরোপে পৌঁছার চেষ্টা করেন৷ ফাইল ছবি ছবি: Darrin Zammit Lupi/REUTERS

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মিশরের নাগরিক বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ৷

গত ২৫ জানুয়ারি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইটালির লাম্পেদুসায় পৌঁছাতে গিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাত বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা যান৷

মর্মান্তিক এই ঘটনায় জড়িত মানবপাচার চক্রের হোতাদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করে ইটালির পুলিশ৷

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩৮ বছর বয়সি মিশরীয় নাগরিককে মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে ইটালির সিসিলি দ্বীপের পুলিশ৷

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লিবিয়া থেকে ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকায় ২৮৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইটালিতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন৷

ভূমধ্যসাগর থেকে ৮২ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

যেসব নৌকায় করে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যাত্রা করছিলেন সেগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল৷ আর সেই সময় সাগরের তাপমাত্রা ছিল শূণ্য ডিগ্রির কাছাকাছি৷

এমন পরিস্থিতিতে ‘‘অভিবাসীদের পাচার করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার প্ররোচনার দায়ে'' তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে বলে জানায় পুলিশ৷

মূলত, এই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় ইটালির পুলিশ৷

পুলিশ জানায়, ‘‘এই ব্যক্তি  ইতিপূর্বে ২০১১ সালে একজন মানবপাচারকারী হিসাবে সিসিলির আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল৷''

প্রচণ্ড ঠান্ডা, প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা ধরনের ঝুঁকি সত্ত্বেও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা বাড়ছেই৷

জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১০,৫৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন৷ ঝুঁকিপূর্ণ এ যাত্রায় কমপক্ষে ২২৯ জন মারা গেছেন৷

এমএইউ/আরআর (এএফপি)

প্রথম প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ইনফোমাইগ্রেন্টস

অভিবাসী বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস তিনটি প্রধান ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের নেতৃত্বে একটি যৌথ প্লাটফর্ম৷ প্লাটফর্মটিতে রয়েছে জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে, ফ্রান্স মিডিয়া মোন্দ, এবং ইটালিয়ান সংবাদ সংস্থা আনসা৷ এই প্রকল্পের সহ-অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷