ভাষাই আজ নৈকট্যের সংস্কৃতি
৫ জানুয়ারি ২০১১ফ্রিডরিশ মাক্স ম্যুলারকে উনিশ শতকের ষাট দশক থেকে বাংলার বিদ্বৎসমাজ মোক্ষ্যমুলার নামে অভিহিত করতেন৷ ভাষা না জানার কারণেই উচ্চারণে এই বিকৃতি৷ অবশ্য শেকসপিয়ারও বিকৃত হন এক সময়৷ তাঁকে হতে হয়েছিল সেক্ষপির৷
ভারতের ছয়টি বড়ো শহরে গ্যোয়েটের নামে নয়, মাক্স ম্যুলারের নামে জার্মান কালচারাল সেন্টারের নামকরণ, মাক্স ম্যুলার ভবন৷ মাক্স ম্যুলার সংস্কৃতসহ প্রাচ্যের আরো তিনটি ভাষা রপ্ত করেছিলেন৷ ইউরোপেরও তিনটি ভাষা জানতেন৷ কিন্তু তাঁকে ভাষাবিদ বলে চিহ্নিত করা হয় না৷ ভারতে তিনি সংস্কৃতবিদ হিসেবে বহুমান্য৷
মাক্স ম্যুলার ভবনে কেবল ভারত-জার্মানির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদিই হয় না, জার্মান-ভাষা শিক্ষারও পয়লা প্রতিষ্ঠান৷ শিক্ষককুল ভারতীয়৷ কলকাতার মাক্স ম্যুলার ভবনে যেমন বঙ্গীয়৷ এঁদের পাঠদানে, ভাষা শিক্ষায় তেমন কোনো হেরফের নেই, জার্মানির শিক্ষকদের সঙ্গে৷ উচ্চারণেও তফাৎ নেই - এরকমই বললেন নূপুর ঘোষ৷ তিনি কলকাতার মাক্স ম্যুলার ভবনে জার্মান ভাষা শিখেছেন৷ অনুরাধা গোয়েল এবং বীণা ঘোষও শিখেছেন৷ জার্মান ভাষা আরো আয়ত্ব করার জন্যে নূপুর ঘোষ এবং অনুরাধা গোয়েল মানহাইম গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউটে, বীণা ঘোষ ফ্রাইবু্র্গ গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউটে অধ্যায়ন করছেন৷ জার্মান সরকারের বৃত্তি নিয়ে৷
ওঁদের কাছেই জানা গেল, ভারতের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে জার্মান ভাষাকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ বললেন ওঁরা, ভবিষ্যতে দ্বিতীয় ভাষা হওয়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক