1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
খেলাধুলাপাকিস্তান

ভারতে বিশ্বকাপ: অনুরোধ খারিজের পর পাকিস্তান খেলবে?

২৮ জুন ২০২৩

একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সূচি ঘোষণা করলো আইসিসি। ভারতে এই প্রতিযোগিতা হবে। পাকিস্তানের মাঠবদলের অনুরোধ খারিজ।

https://p.dw.com/p/4T8r9
ভারতে একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে কি এই ছবি দেখা যাবে? পাকিস্তান কি খেলবে?
ভারতে একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে কি এই ছবি দেখা যাবে? পাকিস্তান কি খেলবে?ছবি: William West/AFP

ভারতের সঙ্গে ম্যাচ আমেদাবাদের বদলে কলকাতায় দেয়ার অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান। তারা মুম্বইতেও খেলতে চায়নি। চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচে তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলতে চায়নি। বেঙ্গালুরুর পিচ আবার ব্যাটিং সহায়ক। সেখানেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে আপত্তি ছিল তাদের। আমেদাবাদ ও মুম্বইয়ে তারা খেলতে চায়নি নিরাপত্তার অভাবের কথা বলে। কিন্তু আইসিসি যে চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের একটা দাবিও মানা হয়নি।

পাকিস্তান কী করবে?

তাদের সব দাবি খারিজ হয়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে ম্যাচ আমেদাবাদেই খেলতে হবে। মুম্বই থেকেও ম্যাচ সরানো হয়নি। এরপর প্রশ্ন উঠেছে, পাকিস্তান একদিনের বিশ্বকাপ খেলবে তো?

আইসিসি ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বলেছে, ভারতে গিয়ে খেলার জন্য তাদের আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। পিসিবি-র মিডিয়া প্রধান সামি উল হাসান বলেছেন, ''ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলার জন্য সরকারের অনুমতি চাই। তাছাড়া ওই সব মাঠে খেলার জন্যও সরকারি অনুমতি পেতে হবে। আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।''

সামি জানিয়েছেন, ''আমাদের অবস্থান একই আছে। আমরা ইতিমধ্যেই আইসিসি-কে জানিয়েছি। আইসিসি খসড়া সূচি পাঠিয়ে আমাদের মতামত চেয়েছিল। আমরা তাদের তখনই আমাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছি।''

তিনি বলেছেন, ''পিসিবি ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের সূচি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তাজনিত গুরুতর চিন্তা আছে।'' দ্য ডনকে সামি বলেছেন, ''সূচিতে বদল করা কোনো অভূতপূর্ব ঘটনা নয়। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টিতে ধর্মশালা থেকে ম্যাচ কলকাতা সরানো হয়েছিল।''

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে। উপযুক্ত সময়ে পিসিবিকে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হবে।

বাংলাদেশের ম্যাচ

ইডেনে বাংলাদেশের ম্যাচ আছে। সেটা পাকিস্তানের সঙ্গে। ৩১ অক্টোবর। এমনিতে বাংলাদেশের প্রথম খেলা সাত অক্টোবর, ধর্মশালায়। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। দুই দিন পর ১০ অক্টোবর ধর্মশালাতেই তারা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তারা খেলবে চেন্নাইতে, ১৪ অক্টোবর।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলা হবে পুণেতে ১৯ অক্টোবর। ২৪ অক্টোবর মুম্বইতে তারা খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। কলকাতায় বাংলাদেশের আরেকটি খেলা আছে ২৮ অক্টোবর এক নম্বর কোয়ালিফায়ারের সঙ্গে। দুই নম্বর কোয়ালিফায়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ হবে দিল্লিতে, ছয় নভেম্বর। ১২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাদের পুণেতে ম্যাচ হবে।

ভারতের ম্যাচ

ভারত বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে আট নভেম্বর চেন্নাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ১১ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ দিল্লিতে। ১৫ অক্টোবর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের মহারণ, আমেদাবাদে। ২২ অক্টোবর ধর্মশালায় ভারতের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের খেলা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলা লখনউতে। দুই নভেম্বর মুম্বইতে কোয়ালিফায়ার দুই ও ১১ নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে কোয়ালিফায়ার একের সঙ্গে খেলা ভারতের। পাঁচ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলবে ভারত। একটি সেমিফাইনাল কলকাতায়, অন্যটি মুম্বইয়ে। ফাইনাল হবে আমেদাবাদে।

জিএইচ/এসজি (আইসিসিওয়ার্ল্ডকাপ ডটকম, দ্য ডন)