ভারতে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
৭ মে ২০২৪এতে বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার হতে পারে৷ ২০২০ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৪ লাখ৷
নারীরা স্তন, সার্ভিকাল ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন৷ আর পুরুষেরা আক্রান্ত হচ্ছেন ফুসফুস, মুখ ও প্রোস্টেট ক্যানসারে৷
গতমাসে প্রকাশিত অ্যাপোলো হসপিটালসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের মানুষ অন্য দেশের তুলনায় অল্প বয়সেই কিছুধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ যেমন, ভারতে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স ৫৯৷ চীনে সেটি ৬৮, যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ এবং যুক্তরাজ্যে ৭৫৷
ভারতে প্রতিবছর গড়ে দশ লাখ মানুষ নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ এদের মধ্যে চার শতাংশ শিশু৷ অথচ মাত্র ৪১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক অনকোলজি বিভাগ আছে বলে জানিয়েছেন মুম্বইয়ের এমআরআর শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অনকোলজিস্ট রুচিরা মিসরা৷
ভারতের পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি কে. শ্রীনাথ রেড্ডি বলেন, ‘‘ক্যানসারের ঘটনা ও মৃত্যু বাড়ছে৷ আগামী দুই দশকে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷'' অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, বায়ু দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবেগুনী বিকিরণের মুখোমুখি হওয়া ইত্যাদি নানাকারণে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি মনে করছেন৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিংয়ের কম হার৷ তারা এটি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন৷
অ্যাপোলো হসপিটালসের প্রতিবেদনে অন্য রোগের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে৷ প্রতিবেদন বলছে, প্রতি তিনজন ভারতীয়র একজন প্রি-ডায়াবেটিক, তিনজনের মধ্যে দুইজন প্রি-হাইপারটেনসিভ, আর দশজনের একজন ডিপ্রেশনে ভুগছেন৷ ক্যানসার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলো এখন এতটাই প্রচলিত যে সেগুলো ‘গুরুতর স্তরে' পৌঁছে গেছে৷
মুরালি কৃষ্ণান, নতুন দিল্লি/জেডএইচ