1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে আবার বাধার মুখে ফর্মুলা ওয়ান

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১

ভারতে প্রথম বারের মতো ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা দিয়েছে৷ ভারত সরকার এমনকি ফর্মুলা ওয়ান’কে ক্রীড়া নয়, মনোরঞ্জন হিসেবেই গণ্য করছে৷

https://p.dw.com/p/12Yv6
ভারতে প্রথম বারের মতো হতে যাচ্ছে ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং প্রতিযোগিতাছবি: AP

ভারতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বেড়াজালের সামনে অনেক উদ্যোগই থমকে যায়৷ এবার ফর্মুলা ওয়ান'এর আয়োজকেরাও সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন৷ আগামী ৩০শে অক্টোবর এই গাড়ির দৌড় শুরু হওয়ার কথা৷ ভারতের ভাবমূর্তির জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয় এটি৷ কিন্তু ফুটবল-ক্রিকেটে যেমন নামী খেলোয়াড়দের ঘিরেই উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নানা আয়োজন দেখা যায়, ফর্মুলা ওয়ান'এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে গাড়ি, গাড়িকে ঘিরে হরেক সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি৷ অতএব এমন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হলে বিশাল মাত্রায় পরিকল্পনা করতে হয়৷ জার্মান স্থপতি ও রেসট্র্যাক ডিজাইনার হ্যারমান টিলকে দিল্লির অদূরে আন্তর্জাতিক মানের ট্র্যাক ডিজাইন করেছেন৷ সেখানে চলছে সাজসাজ রব৷

Rennfahrer Karun Chandhok
ভারতের রেসিং ড্রাইভার কারুন চাধকছবি: AP

সেই কর্মযজ্ঞে বাধ সাজছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ৷ ৩০শে অক্টোবরের রেসিং প্রতিযোগিতার জন্য যেসব সাজ-সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে, তার উপর ১০০ ভাগ শুল্ক চাপাতে চায় কর্তৃপক্ষ৷ অর্থাৎ আয়োজকদের কমপক্ষে ১২ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার শুল্ক মাশুল গুনতে হবে৷ ভারতের দৈনিক ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া' এই জটিলতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে৷

এমন দাবি শুনে আয়োজক জেপি স্পোর্টস ইন্ডিয়া'র কর্মকর্তাদের এখন মাথায় হাত৷ তাঁরা শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলো, যে ফর্মুলা ওয়ান'এর আয়োজনের ক্ষেত্রে যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রয়েছে, ভারতের কর্তৃপক্ষও তা মেনে নিক৷ অর্থাৎ এই প্রতিযোগিতার জন্য যে সরঞ্জাম দেশে প্রবেশ করবে, প্রতিযোগিতার পর তা আবার দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে৷ অতএব শুল্ক দেওয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না৷

ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় অবশ্য ফর্মুলা ওয়ান'কে আদৌ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতেই রাজি নয়৷ সরকারের কাছে এটা মনোরঞ্জনের এক অনুষ্ঠান৷ তবে শেষ কথা এখনো শোনা যায় নি৷ সরকার বিষয়টিকে এখনো বিবেচনা করে দেখছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ