1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয়দের আফগানিস্তান থেকে সরানোর প্রস্তুতি

১৬ আগস্ট ২০২১

আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সে দেশে বসবাসকারী সাধারণ ভারতীয়দেরও দেশে ফেরানো হচ্ছে।

https://p.dw.com/p/3z1wI
তালেবান
ছবি: Gulabuddin Amiri/AP/picture alliance

ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনীর সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমান স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে বলে সেনা সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে। ওই বিমানেই ভারতীয় দূতাবাস কর্মী এবং আফগানিস্তানে বসবাসকারী সাধারণ ভারতীয়দের দেশের ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। তবে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় প্রশাসন এখনো পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

আফগানিস্তানে ভারতের একাধিক দূতাবাস এবং কনসুলেট রয়েছে। মাসখানেক আগেই ভারত অর্ধেকরও বেশি দূতাবাস কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছিল। এবার বাকিদেরও দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দূতাবাস কর্মী ছাড়াও আফগানিস্তানে ভালো সংখ্যায় ভারতীয় বসবাস করেন। বহু মানুষ কাজের সূত্রেও যান। মূলত বাণিজ্যিক কারণেই ভারতীয় সেখানে থাকেন। তাদেরকেও দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। তবে সরকারি ভাবে ভারত এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।

গত সপ্তাহের শেষের দিকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে ভারত ব্যবস্থা নেবে। তবে তখনো কাবুল থেকে অন্তত ১৫০ কিলোমিটার দূরে ছিল তালেবান বাহিনী। গত কয়েকদিনে দ্রুত পরিস্থিতির বদল হয়েছে। শনি এবং রোববার প্রথমে জালালাবাদ এবং পরে কাবুল দখল করে তালেবান। এরপরেই দ্রুত কাবুল থেকে মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের ফেরাতে শুরু করে অ্যামেরিকা। যুক্তরাজ্য, জার্মানি সকলেই দেশের কর্মীদের দেশে ফেরাতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতও দেশের নাগরিকদের সেখানে রাখতে চাইছে না বলে প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর বিমান কখন উদ্ধারের কাজ শুরু করবে, সে বিষয়ে প্রশাসনের সূত্র নির্দিষ্ট কোনো খবর দিতে পারেননি।

সরকারি সূত্র আরো একটি বিষয় জানিয়েছেন। আফগানিস্তান নিয়ে বিশ্বমঞ্চ কী সিদ্ধান্ত নেয়, অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলি তালেবানের ক্ষমতা কোন চোখে দেখে, সে দিকেও নজর রেখেছে ভারত। তালেবান আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কী হবে, তা নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। বিশ্ব রাজনীতি এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, ভারত তা পর্যবেক্ষণ করছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)