1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় জনতা পার্টির ভিতরে কলহ বাড়ছে

১৭ মার্চ ২০০৯

সাধারণ নির্বাচনের মুখে ভারতীয় জনতা পার্টির ভিতরে কলহ যেভাবে বাড়ছে তাতে বিপদ বাড়ছে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপার্থী এল.কে.আদভানির৷

https://p.dw.com/p/HEM9
প্রধানমন্ত্রী পদপার্থী এল.কে.আদভানিছবি: AP

অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থী বরুণ গান্ধী সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার আদেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷

সাধারণ নির্বাচনের একেবারে মুখে ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যকার বিবাদ যেভাবে প্রকাশ্যে এসে পড়েছে তাতে সব থেকে বেশি অস্বস্তিতে রয়েছেন দলের প্রধানমন্ত্রী পদপার্থী এল.কে.আদভানি৷ তিনি এখন উভয় সংকটে৷ একদিকে দলের সভাপতি রাজনাথ সিং অন্যদিকে দলের শীর্ষ নেতা অরুণ জেটলি৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বিজেপির নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দলের সভাপতি রাজনাথ সিং দিয়েছেন সুধাংশু মিত্তালকে৷অরুণ জেটলির তাতে ঘোরতর আপত্তি৷ তাকে না সরালে তিনি দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির কোন বৈঠকেই যাবেন না, যানও নি৷ দলের অন্যান্য নেতারা উভয়কে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হয়নি৷রাজনাথ সিং এবং অরুণ জেটলি নিজেদের অবস্থানে অনড়৷ফলে দুই নেতার ব্যক্তিত্বের সংঘাতে অনৈক্যের যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তাতে ভোটারদের কাছে ভুল সংকেত যাবে বলে মনে করছেন দলের অন্যান্য নেতারা৷

রাজনাথ সিং দলের সভাপতি৷ তাঁকে এখন সরাবার প্রশ্ন ওঠেনা৷ তেমনি অরুণ জেটলির মতো ওজনদার ব্যক্তিত্বকেও অস্বীকার করা যায় না৷ দলীয় সুত্রে শোনা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক না করে এল.কে.আদভানি নিজেই প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্ব নিতে পারেন৷ অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের পিলিভিট সংসদীয় কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর নাতি বরুণ গান্ধী তাঁর নির্বাচনী প্রচারে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করায় বিজেপিকে পড়তে হয়েছে নতুন ঝামেলায়৷ দলের একাংশ তাতে ক্ষুদ্ধ৷ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে৷ সেক্ষেত্রে বরুণ গান্ধীর প্রার্থীপদ বাতিল হতে পারে৷ বিজেপি অবশ্য এ বিতর্কে নিজেকে জড়াতে চায়নি৷ দলের সহ-সভাপতি মোক্তার আব্বাস নাখভি বলেছেন, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন৷ বরুণ গান্ধী বলেছেন, তাঁর নির্বাচনী ভাষণের সিডি বিকৃত করা হয়েছে৷ কথিত সাম্প্রদায়িক মন্তব্যে কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলগুলিরও তীব্র প্রতিক্রিয়া৷

লেখক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক