1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ইতিহাস

২২ আগস্ট ২০২৩

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়৷ কিন্তু ভারত তাতে যোগ দেয়নি৷ বরং রাশিয়া থেকে ভারতের আমদানি অনেক বেড়েছে, বিশেষ করে অপরিশোধিত তেল৷

https://p.dw.com/p/4VRUf
নরেন্দ্র মোদী ও ভ্লাদিমির পুটিন (ফাইল ফটো)
নরেন্দ্র মোদী ও ভ্লাদিমির পুটিন (ফাইল ফটো)ছবি: Alexandr Demyanchuk/SPUTNIK/AFP

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের হিসেবে ২০২২ সালে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ হয়ে ওঠে রাশিয়া৷ ঐ বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ ছিল ৩২.৪ বিলিয়ন ডলার৷ ২০২১ সালে একই সময়ে যা ছিল ৬.৫৮ বিলিয়ন ডলার৷

অথচ ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি বাড়ার আগে ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতের শীর্ষ ২৫ ব্যবসায়িক অংশীদারের মধ্যে রাশিয়া ছিল না৷

ভারতের বাণিজ্যসচিব সুনিল বার্থওয়াল নিকেই এশিয়াকে বলেন, ভারত ‘অনেক অপরিশোধিত তেল কিনে সেগুলোকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যে রূপান্তরিত করে বিক্রি করেছে'৷

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেয়া আছে৷ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল ব্যবহারকারী দেশ হিসাবে ভারত এতে লাভবান হয়েছে৷ ভারত তার চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ তেল আমদানি করে থাকে৷ রাশিয়ার তেল কেনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের উপর ভারতের নির্ভরশীলতা কমেছে৷ কারণ আগে ভারতের মোট তেল আমদানির ৬০ শতাংশের উৎস ছিল মধ্যপ্রাচ্য৷

শীতল যুদ্ধের সময় অস্ত্র চুক্তি

১৯৫৫ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে ভারত তার তিন-পঞ্চমাংশ অস্ত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কিনেছে বলে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিপ্রির হিসেব বলছে৷

আর যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে সামরিক শিক্ষা দেয়া এয়ার ইউনিভার্সিটি বলছে, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আছে৷

এদিকে ভারতের শত্রু পাকিস্তানের অস্ত্র আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷

অর্থনীতিতে সোভিয়েত ইউনিয়নকে অনুসরণ

একটা সময় সোভিয়েত ঘরানার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ছিল ভারতের অর্থনীতির মডেল৷ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ভারত অর্থনীতিতে সংস্কার এনে মুক্ত অর্থনীতির যুগে প্রবেশ করে৷

বড় শক্তি হওয়ার ইচ্ছা

২০০৫ সালে জর্জ ডাব্লিউ বুশের সময় মার্কিন প্রতিনিধিরা বলা শুরু করেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাকৃতিক মিত্র' এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেলে দেশটি ‘একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের একটি বড় শক্তিতে' পরিণত হতে পারে৷ এমন শক্তিতে পরিণত হওয়ার আশা থেকেই ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এসসিও, ব্রিকস এবং রাশিয়া-ভারত-চীন বা আরআইসি গ্রুপে আছে৷

গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন থিংকট্যাংক কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের রাজন মেনন ও ইউজেন রুমার লিখেছিলেন, ‘‘রাশিয়া-ভারতের অংশীদারিত্ব চলতে থাকবে৷'' তারা মনে করেন, ‘‘ভারতের কাছে এখনও অস্ত্র পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উৎস রাশিয়া... ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় অংশ নেয়নি৷ এর মাধ্যমে ভারতে দেখিয়ে দিয়েছে যে, পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত স্বাধীন৷''

আস্ট্রিড প্রাঙ্গে/জেডএইচ