‘ভারত ধর্ষকের দেশ নয়', মেনে নিলেন অধ্যাপক
১৪ মার্চ ২০১৫‘ইন্ডিয়া'জ ডটার' নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থিতিয়ে পড়ার আগেই ভারতের এক ছাত্রের ইন্টার্নশিপের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ শিরোনামে চালে আসেন আনেটে বেক-সিকিঙার৷ ভারতে জার্মানির রাষ্ট্রদূত মিশায়েল স্টাইনার তাঁর কঠোর সমালোচনা করায় অবশেষে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন জার্মান এই অধ্যাপিকা৷
লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপিকা আনেটে বেক-সিঙারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এক ছাত্রকে জার্মানিতে ইন্টার্নশিপ করতে দেননি তিনি৷ এ খবর চোখে পড়া মাত্রই চিঠি লিখে বেক-সিকিঙারকে একরকম ভর্ৎসনাই করেন ভারতস্থ জার্মান রাষ্ট্রদূত মিশায়েল স্টাইনার৷ চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি জানতে পেরেছি, শুধু ‘ভারতে ধর্ষণ সমস্যা'-র কারণ উল্লেখ করে আপনি একটি ছেলেকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেননি৷ আমি কঠোরভাবে আপত্তি জানাচ্ছি৷ একটা কথা খুব পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই আর তা হলো, ভারত ধর্ষকের দেশ নয়৷''
ভারতে ধর্ষণ বেড়েছে এ কথা অস্বীকার করেননি স্টাইনার৷ ভারত সরকারও কখনো তা অস্বীকার করে না৷ তবে কোনো দেশের কোনো সমস্যার কারণে সে দেশের কোনো নিরপরাধ মানুষকে কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পক্ষে কি কোনো যুক্তি দাঁড় করানো যায়? আনেটে বেক-সিকিঙার কোনো যুক্তি দেখাননি৷ বরং নিজের ভুল স্বীকার করে বলেছেন, ‘‘আমার কথায় যাঁদের মনে আঘাত লেগেছে তাঁদের প্রত্যেকের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই৷''
তবে এর পাশাপাশি আনেটে বেক-সিকিঙার জানিয়েছেন, কথিত ছাত্রকে ভারতে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে নয়, আসলে তাঁর ল্যাব পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণেই ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি৷ তিনি আরো জানান, প্রশ্নোত্তরের ওয়েবসাইট ‘কোরা'-য় এ সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে, তা পুরোপুরি ঠিক নয়৷ কোরা-য় লেখা হয়েছিল, কথিত ছাত্রকে সুযোগবঞ্চিত করার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে আনেটে বেক-সিকিঙার বলেছেন, ‘‘আমি ভারতের কোনো ছেলেকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেই না৷ প্রায়ই শুনি ভারতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ ধর্ষণকে তো আমি সমর্থন করতে পারি না৷''
স্টাইনারের কড়া চিঠির পর ক্ষমা প্রার্থনার সময় আনেটে বেক-সিকিঙার দাবি করেছেন, জার্মান এবং ভারতীয়দের এক সম্মীলনে তিনি ধর্ষণ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন, সেই কথাগুলোই ছাত্রের প্রসঙ্গে মিলিয়ে প্রচার করেছে কোরা৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)