1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট চুক্তি প্রস্তুত, তবে অনুমোদন নিয়ে অনিশ্চয়তা

১৪ নভেম্বর ২০১৮

ব্রিটেন ও ইইউ শেষ পর্যন্ত ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া সম্পর্কে ঐকমত্যে এসেছে৷ বুধবার ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা সেটি অনুমোদন করলে চলতি মাসেই ইইউ সম্মেলনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে৷ তবে এখনো অনিশ্চয়তা দূর হয়নি৷

https://p.dw.com/p/38Csg
UK Theresa May
ছবি: picture-alliance/Captital Pictures/R. Gold

শেষ মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত বোঝাপড়া সম্ভব হলেও সেই চুক্তির খসড়া ব্রিটেনের মন্ত্রিসভা ও সংসদ অনুমোদন করবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ সেই সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হলে টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, সে বিষয়েও কোনো নিশ্চয়তা নেই৷চুক্তি সম্পর্কে মতপার্থক্য দেখা দিলেমন্ত্রিসভার আরও সদস্য পদত্যাগ করতে পারেন৷ তাঁদের মধ্যে কয়েক জন মঙ্গলবারই সেই খসড়া পড়ে দেখার সময় পেয়েছেন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন৷  বুধবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তাঁদের সমর্থন চাইছেন প্রধানমন্ত্রী মে৷ উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া এখনো প্রকাশ্যে পেশ করা হয়নি৷

মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করতে ব্যর্থ হলে ২০১৯ সালের ২৯শে মে ইইউ ও ব্রিটেনের মধ্যে কোনোচুক্তি ছাড়াই বিচ্ছেদের আশঙ্কা থেকে যাবে৷ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে চলতি মাসেই এক জরুরি শীর্ষ বৈঠক ডেকে ইইউ নেতারা ব্রিটেনের সঙ্গে সেই চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন৷ তারপর সবক'টি সদস্য দেশের সংসদে চুক্তি অনুমোদনের পালা৷ শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের সংসদের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে কিনা, তাও স্পষ্ট নয়৷ অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য প্রবল চাপ কাজ করছে৷ বুধবার ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার বৈঠকের ফলাফল ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে ২৭টি ইইউ সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা ব্রাসেলসে মিলিত হবেন৷

ব্রিটেনে কট্টরব্রেক্সিটপন্থিরা মঙ্গলবারই সম্ভাব্য চুক্তির জোরালো বিরোধিতা করেছেন৷ তাঁরা ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা ওসংসদে চুক্তির বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে ব্যস্ত৷ বিশেষ করে উত্তর আয়ারল্যান্ড ও আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে অচলাবস্থা এড়াতে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মধ্যে কোনোরকম বাধা সৃষ্টি করার প্রস্তাবে তাঁদের প্রবল আপত্তি রয়েছে৷

আয়ারল্যান্ডের সম্প্রচার কেন্দ্র আরটিই দাবি করেছে, প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তির আওতায় এক ‘ব্যাকস্টপ' কাঠামো রাখা হয়েছে৷ ফলে অরাজকতা এড়াতে ব্রিটেনের সব প্রদেশের সঙ্গেই আপাতত ইইউ-র শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চালু থাকবে৷ ব্রেক্সিটের পর লন্ডন ও ব্রাসেলস আলোচনার মাধ্যমে এক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারলে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে৷ তবে এই প্রস্তাবের মধ্যেও উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য বাড়তি কিছু ব্যবস্থার উল্লেখ রয়েছে বলে আরটিই দাবি করেছে৷ অন্যদিকে ব্রিটেনও এই ‘ব্যাকস্টপ' বোঝাপড়া ছেড়ে দেবার কিছু সুযোগ পাচ্ছে৷

খসড়া চুক্তির খুঁটিনাটী বিষয়গুলি এখনো প্রকাশ্যে না এলেও ব্রিটেনের রাজনৈতিক শিবিরগুলি ভিন্ন ভিন্ন কারণে এমন বোঝাপড়ার বিরোধিতা করছে৷ বিশেষ করে বিরোধী লেবার দলের অবস্থান প্রধানমন্ত্রীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ টোরি দলের ‘বিদ্রোহী' ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের জোটসঙ্গীরা তাঁর বিরোধিতা করলে তাঁকে বিরোধী শিবিরের সমর্থনের উপর নির্ভর করতে হবে৷ 

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)