1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিকস: মোদীর সঙ্গে শি এবং হাসিনার বৈঠক হবে?

২২ আগস্ট ২০২৩

সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী, শি জিনপিং, শেখ হাসিনা। মোদীর সঙ্গে তাদের বৈঠক হবে কি?

https://p.dw.com/p/4VQRj
২০২২ সালে দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কি মোদী-হাসিনার বৈঠক হবে। ছবি: Naveen Sharma/ZUMA/IMAGO

বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত এই বৈঠক নিয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো কথা জানায়নি। আর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সূচি এখন চূড়ান্ত করা হচ্ছে।''

ফলে এই বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিলেও, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে, এমন কোনো কথাও পররাষ্ট্র সচিব বলেননি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ব্রিকস বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবারই জোহানেসবার্গ যাচ্ছেন। সেখানে মোদীর সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। 

গত রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ''এই সম্মেলনের ফাঁকে আমরা বেশ কয়েকটি বৈঠক করতে যাচ্ছি। শেষ মুহূর্তে বৈঠকগুলো চূড়ান্ত হওয়ায় এগুলো এখন প্রক্রিয়াধীন আছে।''

ব্রিকস মানে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও সাউথ আফ্রিকা। এছাড়া বাংলাদেশের মতো বেশ কিছু আমন্ত্রিত দেশের শার্ষনেতারাও সেখানে য়োগ দেবেন। এবার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষসম্মেলন হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী তিনদিনের জন্য সেখানে যাচ্ছেন। চীন জানিয়েছে শি জিনপিংও যাবেন। কোভিড-পরবর্তীকালে এই প্রথম  শীর্ষনেতারা সশরীরে  ব্রিকসের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এর আগে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে।

যদি ব্রিকসের মূল বৈঠকের ফাঁকে মোদী-শি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, তাহলে ২০২০ সালে লাদাখ সংঘাতের পর এই প্রথম দুই নেতার বৈঠক হবে। গত নভেম্বরে বালিতে জি২০ শীর্ষবৈঠকে মোদী এবং শি-র মধ্যে সামান্য কথাবার্তা হয়েছিল। তবে সেটা কোনো বৈঠক ছিল না।

এদিকে পূর্ব লাদাখের দেপসাং ও দেমচোকে দুই দেশের সেনার মধ্যে আস্থা বাড়ানোর জন্য বৈঠক অব্যাহত আছে। স্থানীয় কম্যান্ডার পর্যায়ের আলোচনা চলছে। গত ১৩ ও ১৪ অগাস্ট তারা ১৯তম বৈঠক করেছেন।

বাংলাদেশে নির্বাচন আসছে। তার আগে মোদী ও হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলে তা রীতিমতো গুরুত্ব পাবে। 

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)