1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাসেলসে গুলি, নিহত দুই

১৭ অক্টোবর ২০২৩

বন্দুকধারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি। গুলি চালানোর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।

https://p.dw.com/p/4Xbys
ব্রাসেলসে গুলি
ব্রাসেলসে গুলিছবি: Hatim Kaghat/Belga/dpa/picture alliance

ব্রাসেলসের প্রশাসন জানিয়েছে, নিহত দুই ব্যক্তি সুইডেনের নাগরিক। এক ব্যক্তি আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে এই ঘটনা ঘটেছে। বেলজিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণকারীরা ঘটনার পর পালিয়েছে। তাদের খুঁজতে গোটা এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

জাতীয় বিপর্যয় সেন্টারের মুখপাত্র অ্যান্টনি জানিয়েছেন, ''ব্রাসেলসে রেড অ্যালার্ট চার জারি করা হয়েছে।'' সমগ্র বেলজিয়ামে তা তিনে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বার হওয়াই ভালো। যতক্ষণ থ্রেট অ্যালার্ট জারি থাকবে, ততক্ষণ সকলের কাছে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।

বন্দুকধারীর দখলমুক্ত আমস্টারডামের অ্যাপল স্টোর

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী সোমবার টুইট করে জানিয়েছেন, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি সহমর্মিতা জানিয়েছেন, শোক প্রকাশ করেছেন।  প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেলজিয়াম সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, এ লড়াই চলবে।

বস্তুত, প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে চিহ্নিত করেছেন। প্রশাসন অবশ্য এবিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি। প্রধানমন্ত্রী একটি  মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকও ডেকেছেন।

ঘটনার সময় কাছের একটি স্টেডিয়ামে ডেনমার্ক এবং সুইডেনের মধ্যে ইউরোপিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচ চলছিল। ঘটনার পর সুইডেনের দল সেকেন্ড হাফ বাতিল করার আবেদন জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফ্লুরোসেন্ট কমলা রঙের একটি জ্যাকেট পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন্দুকধারী। তারপর অটোমেটিক অস্ত্র থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই সুইডেনের দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়। একজন আহত হন। এরপর একটি স্কুটারে করে পালিয়ে যায় ওই বন্দুকধারী। আক্রমণকারীকে জেহাদি বলে প্রশাসনের কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি সুইডেন এবং ডেনমার্কে কোরআন জ্বালানোর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। এই প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা ঘটনা ঘটে থাকতে বলেও মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)