1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজব্রাজিল

ব্রাজিলের নির্বাচনে জয়ী বামপন্থি লুলা

৩১ অক্টোবর ২০২২

হেরে গেলেন বলসোনারো। বামপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী লুলার কাছে পরাজিত হলেন। যদিও এখনো হার স্বীকার করেননি বলসোনারো।

https://p.dw.com/p/4Irlq
ব্রাজিল
ছবি: Andre Penner/AP/picture alliance

সামান্য ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী বলসোনারোকে হারিয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে লুলা দ্য সিলভা। তিনি পেয়েছেন ৫০ দশমিক নয় শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বলসোনারোর প্রাপ্ত ভোট ৪৯ দশমিক এক শতাংশ।

১৯৮৫ সালের পর এই প্রথম ব্রাজিলের কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের আসন ধরে রাখতে পারলেন না। লুলা এর আগে দেশ শাসন করেছেন। বলসোনারো ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির অভিযোগে তাকে জেলেও যেতে হয়েছে। বামপন্থি লুলা ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর বলেছেন, এ জয় মানুষের। ব্রাজিলের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য ভোট দিয়েছেন। লুলার কথায়, ''ওয়ার্কার্স পার্টি কিংবা যে সমস্ত দল প্রচারে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এই জয় তাদের নয়। এই জয় ব্রাজিলের মানুষের। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে এতদিন যারা সামিল ছিলেন। ভোটের মাধ্যমে সেই জয় তারা ছিনিয়ে নিলেন।''

ভোটে জিতেইলুলা জানিয়েছেন, তার প্রথম কাজ হবে সকলের কাছে খাদ্য সুরক্ষিত করা। দ্বিতীয় বড় কাজ, অ্যামাজনের জঙ্গল বাঁচানো। লুলার ঘোষণা, ব্রাজিল আবার তার আগের জায়গায় ফিরে যাবে। পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে।

বস্তুত, গত কয়েকবছরে এর ঠিক বিপরীত কাজ করেছেন দক্ষিণপন্থি বলসোনারো। অ্যামাজনের জঙ্গল কেটে নগরায়ন ছিল তার ঘোষিত নীতি। সে কাজ তিনি করতেও শুরু করেছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেননি তিনি। একইসঙ্গে করোনার সময় অতিমারীকেও পাত্তা দেননি। যার জন্য ব্রাজিলে করোনা ভয়াবহ চেহারা নিয়েছিল। তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, দ্বিতীয়বার নির্বাচনে খুব ভালো ফলাফল করতে পারবেন না তিনি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যে পরিমাণ ভোট তিনি পেয়েছেন, তা-ও আশা করা যায়নি।

বলসোনারো অবশ্য এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে হারলে ফলাফল তিনি মেনে নেবেন না। ফলে আদৌ এই ফল তিনি গ্রাহ্য করবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)