1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৈদ্যুতিক যানে জার্মানির তুলনায় চীন এগিয়ে

২৯ জানুয়ারি ২০২৪

প্রচলিত তেল-চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে জার্মান ব্র্যান্ডগুলি গোটা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় হলেও ইলেকট্রিক যানের ক্ষেত্রে চীনই শীর্ষ স্থানে৷ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জার্মান কোম্পানিগুলির উপর চাপ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/4bmPB
চাইনিজ কোম্পানি এমজি-র একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি
চীনের উৎপাদনকারীরা গোটা বিশ্বের কমবাসচন ইঞ্জিনের এক তৃতীয়াংশের বেশি বিক্রি করে এসেছে, তবে এখন সেই বাজার সঙ্কুচিত হচ্ছেছবি: Leonhard Simon/Getty Images

জার্মানির গাড়ি শিল্প চীনের বাজারে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ বেশ কয়েক দশক ধরে বিএমডাব্লিউ, ফলক্সভাগেন ও মার্সিডিস বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজারে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা করছে৷

চীনের উৎপাদনকারীরা গোটা বিশ্বের কমবাসচন ইঞ্জিনের এক তৃতীয়াংশের বেশি বিক্রি করে এসেছে৷ তবে এখন সেই বাজার সঙ্কুচিত হচ্ছে৷

ইলেকট্রিক গাড়ির উন্নতির ক্ষেত্রে চীন বাকিদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে গেছে৷ জার্মান কোম্পানিগুলি কি এখনো তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে?

চীনের উৎপাদনকারীরা ইলিকট্রিক গাড়ির অভ্যন্তরীণ বাজারের ৬০ শতাংশেরও বেশি দখল করে রয়েছে৷ সবচেয়ে বড় বিদেশি কোম্পানির মধ্যে জেনারেল মোটরস চীনের বাজারের প্রায় নয় শতাংশ এবং টেসলা সাত শতাংশ ধরে রেখেছে৷ মাত্র তিন শতাংশ নিয়ে এর ঠিক পরেই ফলক্সভাগেনের স্থান৷ চীনা অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ

সাবিনে ইয়াং-স্মিট বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে জার্মানিকে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে৷ গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হবে না৷ চীনের বিনিয়োগের সঙ্গে জার্মানি পাল্লা দিতে পারবে না৷''

কিন্তু জার্মান কোম্পানিগুলি সেই বাস্তব মেনে নিতে প্রস্তুত নয়৷ তারা এখনো ইলেকট্রোমোবিলিটির ক্ষেত্রে সেরা অবস্থানের জন্য লড়াই থেকে সরে আসতে চায় না৷

প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অতীতের ঘাটতি পূরণ করতে চীনে একাধিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে৷ ইঞ্জিনিয়ারদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে চীন ও জার্মানিতে অবস্থিত জার্মান কোম্পানির কারখানায় বৈদ্যুতিক যান উৎপাদনে গতি আনার চেষ্টা চলছে৷ ম্যার্কাটর চীন গবেষণা কেন্দ্রের গ্রেগর সেবাস্টিয়ান মনে করেন, ‘‘চীন অবশ্যই অত্যন্ত উদ্ভাবনী হয়ে উঠেছে৷ জার্মান গাড়ি কোম্পানিগুলি সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাইছে৷ সফ্টওয়্যার ও ব্যাটারি ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে তারা স্থানীয় মানুষের জ্ঞান কাজে লাগাতে চাইছে৷''

ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার কতটা জার্মানির দখলে?

ফল্কসভাগেন, মার্সিডিস ও বিএমডাব্লিউ চীনা সহযোগীদের সঙ্গে সহযোগিতার সূচনা করতে ৫০০ কোটি ইউরোরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করছে৷

চীনের গাড়ি ক্রেতাদের কাছে জার্মান ব্র্যান্ডগুলি জনপ্রিয় হলেও জার্মান গাড়ি তেমন বিক্রি হচ্ছে না৷ যানের মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ সবচেয়ে বড় সমস্যা৷ তাছাড়া অটোনমাস বা স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও জার্মানরা পিছিয়ে রয়েছে৷

তবে শুধু চীনে নয়, জার্মানির উৎপাদনকারীদেরও বড় আকারে বিনিয়োগ করতে হবে৷ যেমন ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ২০৩৫ সালের মধ্যে ৫,০০০ কোটি ইউরো ব্যয় করতে হবে৷

প্রচলিত কম্বাসচন ইঞ্জিনের ব্যবসা থেকে পাওয়া কোটি কোটি ইউরোর মুনাফা কাজে লাগিয়ে একদিকে প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে চলতে হবে৷ অন্যদিকে সেকেলে উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে৷ এনআইও কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চিন লিহং বলেন, ‘‘জার্মান কোম্পানিগুলির অতীতের সাফল্য সম্ভবত প্রচলিত তেলচালিত গাড়ির উপর নির্ভর করে ছিল৷ তারা সাফল্যের সেই পথ ছাড়তে দ্বিধা করছে৷ নতুন কোম্পানি হিসেবে আমাদের এমন সমস্যা নেই৷ আমাদের কোনো পুরানো অভ্যাস ঝেড়ে ফেলতে হয় না৷ ফলে আমরা আরো দ্রুত অগ্রসর হতে পারি৷''

চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি রপ্তানিকারী দেশ৷ শীর্ষ স্থান থেকে তারা জাপান ও জার্মানিকে সরিয়ে দিয়েছে৷

বিওয়াইডি-র মতো চীনা কোম্পানিগুলির সুবিধা হলো. ব্যাটারি থেকে শুরু করে গাড়ি উৎপাদন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া একটি কোম্পানির হাতেই রয়েছে৷

গোটা বিশ্বে বৈদ্যুতিক যানের ক্ষেত্রে টেসলা সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড৷ বাজারে প্রায় ১৮ শতাংশ টেসলার হাতে৷ তার ঠিক পরেই চীনের বিওয়াইডি ও এসএআইসি রয়েছে৷ মাত্র সাত শতাংশ ভাগ নিয়ে ফলক্সভাগেন চতুর্থ স্থানে রয়েছে৷ তারপর আবার চীনের গিলি-ভলভোর স্থান৷

জার্মানির গাড়ি কোম্পানিগুলি আবার  নতুন করে চীনের বাজারের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে৷ সেই কৌশল কাজ করবে কিনা, আগামী কয়েক বছরেই তা জানা যাবে৷

ক্রিস্টিযান প্রিসেলিউস/এসবি

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য