1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন

৩১ অক্টোবর ২০২৩

পশ্চিমা বড় বড় ব্রান্ডের জন্য পোশাক তৈরি করা বাংলাদেশি পোশাক কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন৷ মঙ্গলবার তাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়৷ আগেরদিন সোমবার সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুই শ্রমিক৷

https://p.dw.com/p/4YFI9
দ্রব্যমূল্য বাড়ায় বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা৷
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন পোশাক কর্মীরাছবি: Mahmud Hossain Opu/AP/picture alliance

ঢাকার অদূরে আশুলিয়া এবং গাজীপুরে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক ধর্মঘট পালন করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ এসময় কারখানা ভাঙ্চুর এবং রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোঁড়ে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা৷

শুধু গাজীপুরে একহাজারের বেশি কারখানা রয়েছে যেখানে এইচএন্ডএম এবং গ্যাপ-এর মতো পশ্চিমা জনপ্রিয় ব্রান্ডের পোশাক তৈরি করা হয়৷

''পোশাক কর্মীরা রাস্তায় নেমেছেন কারণ যে বেতন তারা পান তা দিয়েই আর বেড়ে চলা খাবারের খরচ মেটানো যাচ্ছে না,'' আশুলিয়ায় বলেন পোশাক শ্রমিকদের সংগঠনের নেতা আল কামরান৷

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বড় তৈরি পোশাক রপ্তানিকার দেশ৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বাৎসরিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্যের ৮৫ শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে৷

আশুলিয়া শিল্প এলাকা পুলিশের উপপ্রধান মাহমুদ নাসের বলেন, ‘‘বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ১৫ হাজারের মতো পোশাক কর্মী আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন৷''

শ্রমিক নেতা কামরান অবশ্য পুলিশের বলা এই সংখ্যা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন৷ তার হিসেবে শুধু আশুলিয়াতেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ৫০ হাজারের মতো পোশাক কর্মী৷ আর এই আন্দোলনের মূল কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া বলেও জানান তিনি৷

কামরান বলেন, ‘‘আলুর দাম এখন ৭০ টাকা, পেঁয়াজের দাম ১৩০ টাকা৷ অথচ গতবছর আলুর দাম ছিল ৩০ টাকা, আর পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা৷ ''

‘‘বাড়ি ভাড়াও বেড়েছে৷ শুধুমাত্র একটা জিনিসই বাড়েনি, সেটা হচ্ছে বেতন,'' যোগ করেন তিনি৷

উপপুলিশ প্রধান মাহমুদ জানিয়েছেন যে প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, কারখানার জানালা ভেঙ্গেছে এবং শিল্প এলাকার সঙ্গে রাজধানীতে যাতায়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়৷ ফলে পুলিশ একপর্যায়ে ‘‘রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে৷''

পোশাক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন গতসপ্তাহে শুরু হলেও সোমবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসলে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়৷ তখন এক কর্মী মারা যান৷

আরেকজন কর্মী পুলিশ এবং প্রতিবাদকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে প্রাণ হারান৷

এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)