1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুন্ডেসলিগা: লেভারকুজেন স্টুটগার্টকে উড়িয়ে দিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠল

৩০ নভেম্বর ২০০৯

এই মরশুমে বায়ার লেভারকুজেনের লক্ষ্য শুধু একটিই হতে পারে: বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়নশিপ৷ অথচ ক্লাবটির ৩১ বছরের ইতিহাসে তারা কখনোই ঐ প্রথম স্থানটি অধিকার করতে পারেনি৷

https://p.dw.com/p/Kkbo
গোলের খুশীতে লেভারকুজেনের কিসলিং আর ডেরডিওকছবি: AP

লেভারকুজেনকে চিরকালের ‘‘ভাইস-কুজেন’’ বলে ঠাট্টা করেন যাঁরা, তাঁরাও এবার বলছেন, ঝানু কোচ ইউপ হাইনকেস-এর হাতে পড়ে লেভারকুজেনকে এবার চেনা যাচ্ছে না৷ হাইনকেস স্বয়ং অবশ্য খেতাব জেতার কথা শুনতে রাজী নন: ‘‘তালিকার শীর্ষে থাকি আর না থাকি, আজ আমরা অনেকটা সময় ধরে চমৎকার ফুটবল খেলেছি৷ এবং ফলাফল দেখে যা মনে হতে পারে, স্টুটগার্ট অতোটা খারাপ দল নয়৷’’

ফলাফল মানে ৪-০, স্টেফান কিসলিং-এর তিনটে গোল আর এরেন ডেরডিওকের একটি৷ কিসলিং-এর এখন যা ফর্ম, তা’তে তাকে দস্তানা পরে ছুঁতে হয়৷ রবিবারের গোলগুলো নিয়ে এ’মরশুমে সে করেছে ১২টি গোল৷ যাই হোক, স্টুটগার্টকে বিধ্বস্ত করার আগেও লেভারকুজেনের ব্রেমেনের মতোই ২৭ পয়েন্ট ছিল৷ যেহেতু ব্রেমেন শনিবার ভোলফসবুর্গের সঙ্গে ২-২ ড্র করেছে, সেহেতু লেভারকুজেন এবার তিন পয়েন্টের লিড নিয়ে তালিকার শীর্ষে৷

আসা যাক হ্যানোভার বনাম বায়ার্ন মিউনিখের খেলায়৷ হ্যানোভারের তথা জাতীয় একাদশের প্রয়াত গোলরক্ষক রবার্ট এনকের মৃত্যুর পর এটাই ছিল হ্যানোভারের নিজেদের স্টেডিয়ামে প্রথম খেলা৷ তাই ফ্যানরা নানা ব্যানার তুলে ধরে রবার্ট এনকের কথা স্মরণ করেছে৷ খেলা কিন্তু যায় বায়ার্নের দিকে, কেননা তাদের দৃশ্যত ফুটবলের বিচারে শাপমুক্তি ঘটেছে, অর্থাৎ তারা আবার গোল করতে পারছে৷ হ্যানোভার বেশ সাহসী খেলা খেলা সত্ত্বেও বায়ার্নের পক্ষে নেটে বল ঝোলায় থমাস ম্যুলার, ইভিচা অলিচ এবং মারিও গোমেজ৷ এবং গোমেজের উল্লাসও সহজবোধ্য: ‘‘আমরা এখন তালিকার চার নম্বরে৷ আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা সকলেই হোঁচট খেয়েছে৷ কাজেই এটা একটা সুন্দর সপ্তাহান্ত ছিল বলা চলে৷ ম্যানেজার উলি হোয়েনেস - এখন যিনি প্রেসিডেন্ট - একটা জয় চেয়েছিলেন, এবং আমরা আজ তা সম্ভব করেছি৷’’

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই