1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুন্ডেসলিগা: পয়েন্টের তালিকার দুই প্রান্তের খেলা

১২ ডিসেম্বর ২০০৯

শীর্ষস্থানে আছে লেভারকুজেন, সবার শেষে বার্লিন৷ বার্লিনে সেই দু’টি দলের খেলাই যে চমকপ্রদভাবে ২-২ গোলে শেষ হবে, এটা সত্যিই আগে ভাবা যায়নি৷

https://p.dw.com/p/L0mg
খেলার আগে হের্থার কোচ ফ্রিডহেল্ম ফুঙ্কেল এবং লেভারকুজেনের কোচ ইউপ হাইনকেসের আলিঙ্গনছবি: AP

কলম্বিয়ার এড্রিয়ান রামোস ছিল এ’দিন হের্থার হিরো, হের্থার হয়ে দুটো গোলই করেছে সে৷ আরো বড় কথা, দ্বিতীয় গোলটি করেছে খেলার ৯০ মিনিট শেষ হবার পরে, রেফারি চূড়ান্ত বাঁশি বাজানোর ঠিক আগে, রাফায়েলের একটি কর্নার থেকে হেড করে৷ তার আগে ঠিক ৯০ মিনিটের মাথায় লেভারকুজেনের বুরাক কাপ্লানের শট ডিফ্লেক্টেড হয়ে ২-১ গোলে জয়কে বায়ারের প্রায় হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছিল আরকি৷ কিন্তু তার পরেই আসে রামোসের হেড৷

কাজেই শীতের বিরতির আগে দ্বিতীয় চূড়ান্ত সপ্তাহান্তের প্রাক্কালে তালিকার দিকে নজর দিলে, দেখা যাচ্ছে: লেভারকুজেন ৩২ পয়েন্টে; দ্বিতীয় স্থানে ভের্ডার ব্রেমেন এবং শালকে ০৪, যারা দু’জনেই শনিবার খেলছে৷ ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ, তারা যাচ্ছে হীন-দীন বোখুমের বিরুদ্ধে খেলতে৷ কাজেই তালিকার ওপর দিকে রদবদলের ভালো সম্ভাবনা আছে৷

তালিকার শীর্ষ বনাম পুচ্ছের খেলায় এগিয়ে যায় কিন্তু হের্থা, আট মিনিটের মাথায়, রামোসের গোলে৷ এর পরে ১৩ মিনিটের মাথায় আবার হের্থার গয়কো কাচার’কে লাল কার্ড দেখতে হয় দ্বিতীয়বার ফাউল করে৷ তবুও, লেভারকুজেন এদিন এ্যাতোই ম্যাটম্যাটে ছিল যে, হের্থার দু’গোলের লীড নেবারও সম্ভাবনা ছিল৷ যা ঘটল, তা হল ৭৬ মিনিটের মাথায় লেভারকুজেনের টোনি ক্রসের করা অপ্রত্যাশিত ইকোয়ালাইজার৷ সেই ১-১ কিভাবে শেষে গিয়ে ২-২ হল, সে কাহিনী তো আগেই বলা হয়েছে৷ বলা বাকি থাকছে শুধু এই যে, এবার ওপরের দিকের কোনো দলেরই এমন ফর্ম দেখা যাচ্ছে না যে, চোখ বুজে কে চ্যাম্পিয়ন হবে, সে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়৷ তবে বায়ার্নের উঠতি ফর্ম৷ সে’ক্ষেত্রে জার্মানরা চোখ বুজে বাজি ধরেন বয়ার্ন মিউনিখের ওপর৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই