1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিহারে এগিয়ে বিজেপি-নীতীশ

১০ নভেম্বর ২০২০

বিহারের বিধানসভা ভোটে এখনো পর্যন্ত এগিয়ে এনডিএ। সব চেয়ে বড় দল বিজেপি, দুই নম্বরে আরজেডি, তিনে নীতীশের দল।

https://p.dw.com/p/3l61C
ছবি: IANS

লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। বিজেপি-নীতীশ কুমারের এনডিএ বনাম লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে মহাজোটের। বিকেল পর্যন্ত এগিয়ে পিছিয়ে থাকার হিসাব হলো এনডিএ এগিয়ে আছে ১২১টি আসনে। মহাজোট ১১৩টিতে। বিজেপি এগিয়ে ৭৩টি আসনে, আরজেডি ৭৪টিতে, নীতীশের দল ৪৩, কংগ্রেস ২১, সিপিআই(এমএল) ১১, সিপিএম চারটিতে এগিয়ে। ১২৫টি আসনে এগিয়ে-পিছিয়ে থাকার ব্যবধান হলো আট থেকে পাঁচ হাজার ভোটের। তাই এই এগিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার হিসাব পরে বদলেও যেতে পারে। বিহারে ১২২টি আসন পেলেই সরকার গঠন করা যাবে। তবে লড়াইটা এতটাই তীব্র হচ্ছে যে, বিকেলেও বলা যাচ্ছে না, কে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে। 

 তবে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। এনডিএ-র শরিকদের মধ্যে বিজেপি-ই সব চেয়ে বেশি আসন পাবে। নীতীশ কুমার বিজেপি-র তুলনায় অনেক কম আসনে জিতবেন। ফলে এনডিএ জিতলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বিজেপি-র ছোট-বড় নেতারা সকলেই প্রচারের সময় বলেছিলেন, এনডিএ জিতলে নীতীশই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু এখন বেশি আসন পাওয়ার পর বিজেপি-র সুরবদল হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। 

ভারতে রাজ্যের ভোটে সাধারণত দুপুর বা বিকেলের মধ্যেই ফলাফল এসে যায়। কিন্তু করোনাকালে এ বার বিহারে বুথের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছিল। যাতে ভোট দেয়ার সময় ভিড় না হয়। তাই গুণতে অনেক দেরি হচ্ছে। গোণার সময়ও দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। তাই ফলাফল আসছে ধীরগতিতে। তাই বিকেলেও আরজেডি দাবি করেছে, শেষ পর্যন্ত মহাজোটই বিজয়ী হবে। তবে পাটনায় বিজেপি দফতরে বিজয়োৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।

শেষ পর্যন্ত এনডিএ জিতলেও একটা কাঁটা থেকেই যাচ্ছে। সেটা হলো চিরাগ পাসোয়ান-কাঁটা। চিরাগ এ বার নীতীশের দল জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে সব আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। বিহারে অনেক কেন্দ্রেই চিরাগ পাসোয়ানের দলের পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ ভোট আছে। ফলে নীতীশ যে খারাপ ফল করেছেন, তার পিছনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভের পাশাপাশি ভোটকাটিয়ে চিরাগের ভূমিকাও আছে। আর বিহারের ভোটে গোড়া থেকেই অভিযোগ হলো, চিরাগের পিছনে আছে বিজেপি। তারা নীতীশের আসন কমাতে চায়। তবে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের ৭োবের কারণে নীতীশের প্রচুর বোট যে হাতচাড়া হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব বিহারের ভোটে জেতার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর দশ লাখ সরকারি চাকরি দেয়ার ঘোষণায় যুবকেরা প্রভাবিতও হয়েছিলেন। যুবাদের এই স্বপ্ন দেখিয়ে তিনি তাঁদের জাতপাতের বাইরে নিয়ে এসে আরজেডির পক্ষে ভোট দেয়াতে চেয়েছিলেন। অনেকাংশে তিনি সফল হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু শেষ হাসি তিনি হাসতে পারবেন কি না বলা যাচ্ছে না। তবে ৩১ বছর বয়সী এই তরুণ নেতা খুবই ভালো লড়াই করেছেন। অন্তত নীতীশকে টপকে গিয়ে আসনসংখ্যার নিরিখে তিনি এক নম্বরে পৌঁছে গেছেন।। তবে যথারীতি হতাশ করেছে কংগ্রেস। ৭০টি আসনে লড়ে তারা ২১টিতে এগিয়ে আছে। তুলনায় বরং বামেরা ভালো ফল করেছে। 

সব কটি এক্সিট পোল বলেছিল, তেজস্বীর নেতৃত্বাধীন জোটই জিতবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তেজস্বী হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন ঠিকই, কিন্তু বিজেপি-নীতীশের এনডিএ এগিয়ে আছে। আর বিহার জিততে পারলে তা বিজেপি-র মনোবল বাড়াবে এবং মাস পাঁচ-ছয় পরে পশ্চিমবঙ্গের ভোটেও তারা বাড়তি মনোবল নিয়ে ঝাঁপাবে। বিহারে বিজেপি হারলে তারও মানসিক প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। 

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)