1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি: Amnesty-র অভিযোগ

২৬ মে ২০০৪

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন Amnesty International তার সদ্য প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্টে সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াই-এর নামে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় - বিশেষ করে ইরাকে, আফগানিস্তানে আর গুয়ানতানামো বে-র কারাগারে ব্যাপক মানবাধিকার লংঘনের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেছে৷ Amnesty-র রিপোর্ট অ

https://p.dw.com/p/DQ30

�ুযায়ী, গোটা বিশ্বেই অংশত মানবাধিকার পরিস্থিতির সাংঘাতিক অবনতি ঘটেছে৷

বিশ্বে মানবাধিকার গত বছরের মত আর কখনও এতটা বেশি আক্রান্ত হয় নি৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন Amnesty International তার ২০০৩ সালের রিপোর্টে এই মর্মে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ ১৫৫টি দেশে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ করেছে Amnesty৷ তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চালিত লড়াই নিয়ে৷ আর এই সূত্রে Amnesty International-এর অভিযোগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে তার অপারেশন চালাতে গিয়ে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার লড়াই অব্যাহত রাখতে গিয়ে মানবাধিকারকে বলি দিচ্ছে৷ Amnesty-র আরো অভিযোগ, নিরাপত্তার স্বার্থ দেখার নামে পীড়ণ আর অত্যাচারের আশ্রয় নেয়া হচ্ছে আবার জোরেশোরে৷

গতকাল বার্লিনে বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করতে গিয়ে Amnesty-র জার্মান শাখার সাধারন সম্পাদক বারবারা লখবিলার বললেন : ইরাক আর আফগানিস্তানের ঘটনাবলী Amnesty অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে৷ ঐ দুটি দেশে মানবাধিকার-যে কতটা ব্যাপকভাবে লংঘিত হচ্ছে সেখানে দখলদার সেনাদের দলন ও পীড়নের ছবি থেকে তার প্রমাণ মেলে৷ আর তাই Amnesty বন্দী পীড়ণের ঐ সব ঘটনার তদন্ত করতে একটি স্বাধীন অসামরিক কমিশন গঠনের দাবি করেছে৷ এই মানবাধিকার সংস্থা মনে করে, সামরিক নেতৃত্বাধীন কোন গ্রুপ ঐ সব ঘটনা পুরোপুরি খোলাসা করতে পারবে এমন আশা করা যায় না৷ Amnesty-র জার্মান শাখার সাধারণ সম্পাদক বারবারা লখবিলার মানবাধিকার লংঘনের এই সব ঘটনার জন্য সরাসরি মার্কিন সরকারকেই দায়ী করেছেন৷ তাঁর অভিযোগ, মার্কিন সরকার বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে জেনেভা কনভেনশন এবং মানবাধিকারের অন্যান্য মানবিধি খোলাখুলি লংঘন করে এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে, যে পরিবেশে সৈনিকরা ভাবতে পেরেছে যে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণ করেও পার পাওয়া যাবে৷ লখবিলার বলেন, এর দায়ও মার্কিন সরকারকেই বইতে হবে৷

আব্দুল্লাহ আল ফারূক