1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বব্যাপী অভিবাসী কর্মীদের সংখ্যা কমছে: ওইসিডি

১৫ জুলাই ২০১০

গত পাঁচ বছর ধরে অভিবাসী কর্মীদের সংখ্যা কমছে৷ অর্থনৈতিক মন্দা, কাজ না পাওয়া, কম বেতন এবং কাজের স্বল্প মেয়াদি চুক্তি-ই এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/OJgL
বিদেশে কাজ করার আকর্ষণ কমে চলেছেছবি: DW-TV

ইউরোপীয়র অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা ওইসিডি সোমবার ব্রাসেলসে জানিয়েছে, সারা বিশ্বে অভিবাসী কর্মীদের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে৷ গত বছর বিশ্বে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ কাজের আশায় বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে৷ ২০০৮ সালের তুলনায় তা ছিল ৬ শতাংশ কম৷

সারা বিশ্বে যত মানুষ কাজের জন্য বিদেশে যায় তার ৪০ শতাংশই যায় ইউরোপে৷ ইউরোপের কোন্ দেশ কাজের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় ? পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে, এরপর সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং জার্মানি৷ চাকরির লোভে অনেকে আবার ছুটছে ব্রিটেন, স্পেন এবং পর্তুগালে৷ এই দেশগুলোতে কাজ পাওয়া যাবে, বেতনও ভাল হবে – এরকম এক ধারণা সর্বস্তরে প্রচলিত৷ সবচেয়ে বেশি অভিবাসী কর্মী আসে চীন, ভারত, পোল্যান্ড এবং মরক্কো থেকে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট কমিশনার সেসিলিয়া মাল্মস্ট্রম আশংকা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘অভিবাসী কর্মী আমাদের প্রয়োজন৷'' ব্রাসেলসে ওইসিডি-র প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তিনি জানান,‘‘আমাদের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে৷ অভিবাসী কর্মী ছাড়া আমরা দেশের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হবো না৷''

Philippinischer Krankenpfleger Elmer Jacinto in New York
বিদেশী কর্মী ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখা কঠিনছবি: AP

যে সব ক্ষেত্রে কর্মীদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে তার মধ্যে স্বাস্থ্যরক্ষা এবং জন পরিষেবা উল্লেখযোগ্য৷ এ দুটি খাতে দ্রুত কর্মী প্রয়োজন৷ অনেক শহর রয়েছে যেখানে এসব খাতে কাজ করার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না৷ এই পদগুলো পূরণ করতে হলে অন্য দেশ থেকে অভিবাসী কর্মী আনা আবশ্যক বলে সেসিলিয়া মাল্মস্ট্রম উল্লেখ করেন৷

ওইসিডি-র বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগামী দশ বছরে, কাজ করতে পারে বা কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা বাড়বে মাত্র দুই শতাংশ৷ অথচ ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ৷

এই সমস্যা সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শ্রম দপ্তরের কমিশনার লাজলো আনডোর তরুণ প্রজন্মকে বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা করার ওপর জোর দেন৷ তিনি বলেন,‘‘অভিবাসী পরিবারের তরুণ প্রজন্মই আমাদের ভবিষ্যৎ৷ তারা পড়াশোনা করছে সেটাকেই আমাদের কাজে লাগাতে হবে, প্রয়োজন হলে আরো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে৷ কিন্তু কোন অবস্থাতেই তাদের দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক