বিশ্বকাপে ভারত ৭, পাকিস্তান ০

সেই বছরই প্রথমবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান৷ প্রথম ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত ২১৬ রান তুলেছিল৷ ১৮ বছরের শচিন টেন্ডুলকার করেছিলেন ৫৪ রান৷ ভারতের রান তাড়া করতে গিয়ে ৪৩ রানে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান৷ তবে পরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমরান খানের দল৷

ব্যাঙ্গালোরে সেইবার কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল৷ এবারও ভারত প্রথমে ব্যাট করে৷ নভোজিৎ সিং সিধুর ৯৩ রানের সুবাদে ২৮৯ রান তুলেছিল ভারত৷ এরপর ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৮৪ রান তুলেছিল সাঈদ আনোয়ার-আমির সোহেল জুটি৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩৯ রানে হেরে যায় পাকিস্তান৷ পরে কঠোর নিরাপত্তায় বাড়ি ফিরতে হয়েছিল ওয়াসিম আকরামদের৷

ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাট করে ২২৭ রান তুলেছিল ভারত৷ কিন্তু পাকিস্তান সেটি তাড়া করতে পারেনি৷ ১৮০ রানেই সবাই আউট হয়ে গিয়েছিল৷ ২৭ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ৷ তবে সেবার রানার আপ হয়েছিল পাকিস্তান৷

সুপার সিক্সের খেলায় সাঈদ আনোয়ারের ১০১ রানের সুবাদে ২৭৩ রান তুলেছিল পাকিস্তান৷ এরপর ভারতের দুই ওপেনার সৌরভ গাঙ্গুলি ও শেবাগের তাড়াতাড়ি বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান৷ কিন্তু টেন্ডুলকার ছিলেন, ৯৮ রান করেন তিনি৷ এছাড়া রাহুল দ্রাবিড় ৪৪ ও যুবরাজ সিং অপরাজিত ৫০ রান করায় ছয় উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তান৷

ভারতের মোহালিতে সেমিফাইনালে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি৷ টেন্ডুলকারের ৮৫ রানের সুবাদে ভারত ২৬০ রান করেছিল৷ পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন৷ জবাবে পাকিস্তান ২৩১ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ায় ২৯ রানের জয় পায় ভারত৷ ‘‘সত্যি বলতে জানি না, আমরা কেন সবসময় হারি,’’ এএফপিকে বলেন পাকিস্তানের সেই সময়কার অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি৷

বিরাট কোহলির ১০৭ ও সুরেশ রায়নার ৭৪ রানের বদৌলতে ভারত ৩০০ রান তুলেছিল৷ জবাবে পাকিস্তান ২২৪ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল৷

প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৩৩৭ রান করেছিল ভারত৷ রোহিত শর্মা করেছিলেন ১৪০ রান৷ এরপর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের সময় বৃষ্টি বারবার ব্যাঘাত তৈরি করছিল৷ ডিএলএস পদ্ধতিতে ৮৯ রানে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান৷