1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিশ্বকাপ সমালোচনায় দ্বিমুখী নীতি নিয়েছে জার্মানি’

৭ নভেম্বর ২০২২

বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারের মানবাধিকার রেকর্ডের জার্মান সমালোচনার মধ্যে ‘দ্বিমুখী নীতি’ দেখছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি৷ সোমবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকার একথা বলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4J9YH
কাতারের সমালোচনা করায় জার্মানিকে একহাত নিলেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি (ফাইল ফটো)ছবি: Imago Images/photothek/F. Gaertner

অভিবাসী কর্মীদের প্রতি কাতারের আচরণের তীব্র সমালোচনা দীর্ঘদিন ধরেই করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ দেশটির জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই অভিবাসী কর্মী ও বিদেশি৷

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতমাসে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসারের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশটিতে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে৷ ফেসার বলেছিলেন যে, একটি দেশ বিশ্বকাপ আয়োজনের উপযুক্ত কিনা তা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে দেশটির মানবাধিকার রেকর্ডও বিবেচনায় রাখা উচিত৷ 

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আলগেমাইনে সাইটুং পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি বলেন, ‘‘একদিকে জার্মানির জনগণকে সরকারি রাজনীতিবিদরা ভুল তথ্য দিচ্ছেন, অন্যদিকে জ্বালানি সহযোগিতা বা বিনিয়োগের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে জার্মান সরকারের কোনো সমস্যা নেই৷''

‘‘আমরা এই দ্বিমুখী নীতি দেখে বিরক্ত,'' যোগ করেন তিনি৷ আল-থানি মনে করেন, কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য মনোনীত হওয়ার পর থেকে ১২ বছর ধরে এর বিরুদ্ধে সুসংবদ্ধ প্রচারণার শিকার হচ্ছে৷

কাতারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘‘আইরনি হচ্ছে ইউরোপের যেসব দেশ নিজেদের মুক্ত গণতন্ত্রী মনে করে তারা এই ইস্যুতে বেশি সোচ্চার৷ এটা অত্যন্ত অহংকারী, স্পষ্ট এবং খুব বর্ণবাদী শোনায়৷''

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিতের শর্তে ফেসারের বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার বিষয়টিকে ‘বাহুল্যপূর্ণ' আখ্যা দিয়ে আল-থানি বলেন, ‘‘জার্মান রাজনীতিবিদদের উচিত নিজের দেশের সীমান্তের মধ্যে সংগঠিত ‘হেট ক্রাইমের' দিকে আরো মনোযোগী হওয়া৷''

এআই/জেডএইচ (রয়টার্স)

কাতারের দোহার সুক ওয়াকিফ বাজার