1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিফিলিস্তিন

বিশ্ব পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার চেষ্টা সাউথ আফ্রিকার

২৭ মে ২০২৪

ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে বলে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত; আইসিজেতে অভিযোগ করেছে সাউথ আফ্রিকা৷

https://p.dw.com/p/4gKfP
জোহানেসবার্গে ব্রাজিলের পেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভারভের সঙ্গে সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা (মাঝখানে, ফাইল ফটো)৷
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছে সাউথ আফ্রিকাছবি: Prime Ministers Office/Zuma Press/picture alliance

এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মস্কো ও কিয়েভ সফর করেছেন সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা৷

সাউথ আফ্রিকান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ‘আফ্রিকান গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডিপ্লোমেসির' প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর স্টিভেন গ্রাজড ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘সাউথ আফ্রিকার মতামতের গুরুত্ব আছে৷ আন্তর্জাতিক স্তরে সাউথ আফ্রিকা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, বিশেষ করে আফ্রিকায়৷''

২০২২ সালে ইথিওপিয়ার টিগ্রেতে গৃহযুদ্ধের সময় সাউথ আফ্রিকা সংঘাত থামানোর চেষ্টা করেছে৷

গত শুক্রবার আইসিজে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের রাফায় হামলা ‘অবিলম্বে' বন্ধ করার নির্দেশ দেয়, যার জন্য সাউথ আফ্রিকা জরুরি ভিত্তিতে আবেদন করেছিল৷

তবে সাউথ আফ্রিকার পদক্ষেপে অসঙ্গতি আছে বলে মনে করেন গ্রাজড৷ তিনি বলেন, দেশটি ফিলিস্তিনকে সমর্থন করলেও রাশিয়া যে জাতিসংঘের চার্টার ভঙ্গ করছে সে বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সাউথ আফ্রিকা৷

পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা সত্ত্বেও সাউথ আফ্রিকা ফিলিস্তিনের সঙ্গে যোগাযোগের বিভিন্ন পথ খোলা রেখেছে বলে জানান গ্রাজড৷

এছাড়া শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে সাউথ আফ্রিকা৷

ইসরায়েলের বোমা হামলায় বিধ্বস্ত রাফার একাংশ দেখছেন এলাকাবাসী
গাজায় চলছে ইসরায়েলের হামলাছবি: Jehad Alshrafi/dpa/picture alliance

সাউথ আফ্রিকার সুশীল সংগঠন ‘সাউদার্ন আফ্রিকান লিয়াজোন অফিসের' পলিসি ম্যানেজার লওয়াজি সোম্যা নিউ বলেন, অতীত ইতিহাসের কারণে সাউথ আফ্রিকা মনে করে, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার একধরনের অনন্য নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে৷

আফ্রিকান ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাউথ আফ্রিকা৷ এছাড়া জি-টোয়েন্টিতে আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধিও তারা৷

উদীয়মান কয়েকটি অর্থনীতির সংগঠন ব্রিকসেরও সদস্য সাউথ আফ্রিকা৷ ব্রিকস এখন জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাইছে৷ এমনকি ২০১৪ সালে নিজেদের একটি উন্নয়ন ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করেছে ব্রিকস৷

মার্টিনা শোয়িকোভস্কি/জেডএইচ