বিব্রতকর যত রাষ্ট্রীয় সফর
রাজনীতিবিদরা গুরুত্বপূর্ণ সব কাজে বিদেশ সফরে যান৷ কিন্তু এসব সফরেও মাঝেমাঝে এমন সব ঘটনা ঘটে, যাতে চোখ হয় চড়কগাছ৷ এমন কিছু ঘটনা নিয়ে আজকের ছবিঘর৷
সস্তা চাটুকারিতা
‘সবসময় কাজের কথা আগে’– এভাবেই বেশি পরিচিত জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ফলে সস্তা চাটুকারিতায় তিনি খুশি হবেন, এমনটা ধরে না নেয়াই ভালো৷ কিন্তু ২০১৮ সালে তাঁর সেনেগাল সফরে ঠিক এমন এক ঘটনা ঘটে৷ স্বাগত জানাতে গিয়ে গান গাওয়া হয় পপ গান, ‘শ্যোনে মাইড, হাস্ট ডু হয়টে ফ্যুর মিশ সাইট’, যার অর্থ, ‘সুন্দরী নারী, আজ কি তোমার আমার জন্য কিছু সময় হবে?’
রোদে দাঁড়িয়ে একা
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে উদ্ভট কিছু ঘটবে না, তা কি হতে পারে? ২০১৮ সালে ব্রিটেন সফরে গিয়ে ব্রিটিশ রানিকেই রোদে দাঁড় করিয়ে রাখলেন ১২ মিনিট৷ এবং যখন প্যারেড শুরু হলো, ট্রাম্প রানিকে রেখেই এগিয়ে গেলেন সামনে!
টেরেসা মে’র নৃত্য
২০১৮ সালের আগস্টে ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ দেশে বেশ বিপদে ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ এর মধ্যে সাউথ আফ্রিকা সফরে এক স্কুলে গিয়ে তাঁর নৃত্য মিডিয়ার নজর কাড়ে৷ রোবটের মতো শুধু হাত-পা নাড়ানোয় কোনো কোনো ব্রিটিশ মিডিয়া তাঁকে ‘মেবোট’ নামেও আখ্যায়িত করেছিল৷
ট্রুডোর ফ্যাশন-বিপত্তি
একটা বাজে পোশাকই রাষ্ট্রীয় সফরকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট৷ ২০১৮ সালে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভারত সফরে এমন ঘটনাই ঘটেছিল ৷ ঐ সফরে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি এমন এক পোশাক পরেন, যা সাধারণত বলিউডের অভিনেতারাই পরে থাকেন৷
স্পর্শেই অপমান!
২০০৯ সালে তৎকালীন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা গভীর বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাঁধে হাত রাখেন৷ কিন্তু রানিকে অনুমতি ছাড়া স্পর্শ করার বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি ব্রিটিশ মিডিয়া৷ পরদিন বিভিন্ন দেশে এই ছবিটি ছাপা হয় বেশ বড় করে৷
ভুল জাতীয় সংগীত
১৯৯৫ সালে তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট রোমান হ্যার্তসগ গিয়েছিলেন ব্রাজিল সফরে৷ কিন্তু অতিথিদের স্বাগত জানাতে অর্কেস্ট্রা দল যা করল, তা ভয়াবহ৷ জার্মানির জাতীয় সংগীত বাজাতে গিয়ে দলটি বাজালো ৫ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া পূর্ব জার্মানির জাতীয় সংগীত৷
মাইক্রোফোন চালু!
২০১১ সালে জি-২০ সম্মেলনে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাই সারকোজি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে কিছু ‘আপত্তিকর’ কথা বলেন৷ সমস্যাটা হলো, বুকের মাইক্রোফোন তখনও চালু৷ কিছু সাংবাদিক শুনে ফেলেন সারাকোজি বলছেন, ‘‘আমি তাঁকে সহ্যই করতে পারি না৷ তিনি একজন মিথ্যাবাদী৷’’ জবাবে ওবামা বলেন, ‘‘আমার তাঁকে আপনার চেয়ে বেশি মোকাবেলা করতে হয়৷’’