1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিবিসি অফিসে আয়করের ৬০ ঘণ্টার 'সমীক্ষা' শেষ

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

দিল্লি ও মুম্বইয়ের বিবিসি অফিসে টানা প্রায় ৬০ ঘণ্টার 'সমীক্ষা' শেষ করলেন আয়কর অফিসাররা।

https://p.dw.com/p/4Nd1V
ছবি: Sajjad Hussain/AFP/Getty Images

ভারতের আয়কর অফিসাররা বিবিসি-র অফিসেপৌঁছেছিলেন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ। তারা বেরোলেন বৃহস্পতিবার রাতে। টানা প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে তদন্ত চালাবার পর। আয়কর বিভাগ অবশ্য এই তদন্তকে 'সমীক্ষা' বলে জানিয়েছে।

আয়কর অফিসার ও কর্মীদের দল বিবিসি অফিস ছাড়ার পর সিনিয়র এডিটর সহ দশ জন সাংবাদিক ও কর্মীর দলও অফিস ছাড়ার অনুমতি পান।

এরপর বিবিসি-র পক্ষ থেকে লম্বা টুইট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ''বিবিসি স্বাধীন ও বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যম। আমাদের সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীরা ভয় ও পক্ষপাত ছাড়াই খবর দেন। বিবিসি কর্মীদের পাশে আছে।''

বিবিসি জানিয়েছে, তারা আয়কর বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। তাদের আশা, দ্রুত বিষয়টির মিটে যাবে। যে কর্মীরা এত ঘণ্টা ধরে অফিসে ছিলেন এবং প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের খেয়াল রাখাটা বিবিসি-র অগ্রাধিকার।

সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানাচ্ছে, বিবিসির অনেক সিনিয়ার কর্মীর ফোন ক্লোন করা হয়েছে। তাদের ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ স্ক্যান করা হয়েছে। 'ট্যাক্স', 'বেনামি', 'কালো টাকা'-র মতো শব্দ ব্যবহার করে স্ক্যান করা হয়েছে।

সরকারের কিছু প্রবীণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিবিসি-র বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগের এই সমীক্ষা একেবারেই প্রতিশোধমূলক নয়। অতীতে বিবিসিকে আয়কর সংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা বিশ্বাসযোগ্য জবাব দিতে পারেনি। তারা ট্র্যান্সফার প্রাইসিং বিধি বঙ্গ করেছে কি না, লাভের অংশ অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে কি না, তা সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

বিরোধীরা অবশ্য দাবি করেছে, সম্প্রতি বিবিসি প্রধানমন্ত্রী মোদী ও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রচার করেছে। তারপরই আয়কর সমীক্ষা হলো।  তাই তারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে।

বিজেপি-র অভিযোগ, বিবিসি সমানে ভারতের বিরুদ্ধাচরণ করে একের পর এক রিপোর্ট ছাপছে। এটা তাদের চক্রান্ত।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)