1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিবর্তনবাদ পড়ে সমালোচনা বা বর্জনের অনুরোধ

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সম্প্রতি দেশে যারা বিবর্তনের বিষয়ে ডারউইনের মতবাদের পাঠদান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে ওই মতবাদ পড়ে সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান৷

https://p.dw.com/p/4NvPf
ছবি: picture-alliance/Photoshot

তিনি বলেছেন, ‘‘ডারউইনকে এখনও অনেকে মানতে চায় না৷ তাকে পড়ে আপনি রিফিউজ করতে পারেন, কিন্তু অনেকে বলছে বিবর্তনবাদ পড়বে না৷ বিবর্তনবাদ পড়ে তার ত্রুটি থাকলে সেটার সমালোচনা করুন৷

‘‘অনেকে এখনও বিশ্বাসই করে না যে, পৃথিবী ঘুরছে৷ আমরা ডিএনএ টেস্ট করবো, কিন্তু বিবর্তনবাদ পড়বো না! আমরা বলি, মানুষ আশরাফুল মাকলুকাত৷ ডারউইন আরেকটু এগিয়ে বলছেন, ‘অবশ্যই আশরাফুল মাকলুকাত নয়তো পৃথিবী ধ্বংস করার জন্য এত মুখিয়ে আছে কেন?' এটা আমরা এখন দেখছি, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে৷”

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘দোঁহার পূর্বাপর ও ইউসুফ মুহম্মদের দোঁহা' শীর্ষক সেমিনারে প্রশ্নোত্তরে পর্বে তিনি এসব কথা বলেন৷

শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ বলেন, ‘‘মানুষ নিজে যা চিন্তা করে তা নয়, অন্যে তাকে নিয়ে যা চিন্তা করে, সে তাই- এটা ফ্রয়েড বলেছেন৷ ফ্রয়েড, মার্ক্স, ডারউইনের মত লোকেরা জ্ঞান সৃষ্টি করেছেন৷ পেছনে তাকালে তাই দেখতে পাই৷ আমাদের মধ্যে এমন মানুষ জন্মেছেন, তাদের আমরা হয়ত এখনও চিনতে পারিনি৷

‘‘কবির, লালন ফকির এরাই আধুনিক৷ কিন্তু এদের বীজ আমরা মাটিতে পড়তে দিইনি৷ ইউরোপীয়রা মানুষের কল্যাণে যা করেছে, তার সবই আমরা নিব, তাদের আধুনিকতা আমরা নিব; তবে তাদের সবকিছুই ভালো, এমনটা নয়৷”

আরেক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের যে কারণ ছিল, সেটা আমরা দেখি না কোথাও৷ এখন মনে হয় সব যেন অলিক হয়েছে৷ কোনো একটা দেশ স্বাধীন হয়েছে কি না তার প্রমাণ, সেদেশের সব থেকে দুর্বল জনগোষ্ঠী কেমন আছে৷

‘‘আমরা যে এখন‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী' বলছি, তা তো মুক্তিযুদ্ধের কথা ছিল না৷ মুক্তিযুদ্ধ যে ব্যর্থ হয়েছে- তার প্রমাণ, সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষরা কেমন আছে? অনেকে বলবেন- কত উন্নয়ন হয়েছে, জিডিপি বেড়েছে, অনেক অবকাঠামো হয়েছে৷ কিন্তু ন্যূনতম মজুরি আর স্বাস্থ্যসেবার কী হল, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার কী হলো?”

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘‘দরিদ্রতম কৃষকের যে দুরবস্থা ছিল ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে, তার কি গুণগত কোনো পরিবর্তন হয়েছে? শিক্ষা যে সবার কাছে নিতে পারিনি এর ব্যাখ্যা কী? ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের বাচ্চাদের বেতন মাসে ৩০ হাজার টাকা৷ পয়সা থাকলেই এখন শিক্ষা কেনা যাচ্ছে৷ শিক্ষা আর অধিকার নেই৷

‘‘এখনও জটিল রোগ হলে ভারতে ছুটতে হচ্ছে৷ যার পয়সা আছে, সে সিঙ্গাপুর যেতে পারছে, আমি পারছি না৷ অথচ শতকরা একশ ভাগ লোককে স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনার কথা ছিল৷ সেটা সম্ভবও ছিল৷ কত শতাংশ হয়েছে? হয়নি৷”

দুপুরলতা সাহিত্য পত্রিকা আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন কবি রিজোয়ান মাহমুদ৷ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হাটখোলা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)