বিদেশে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী
সেই ১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু৷ তারপর থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়মিত বাংলাদেশের সামরিক ও পুলিশ বাহিনী৷ মিশনে বাংলাদেশের সেনারা এক আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে৷
কয়েকজন সামরিক পর্যবেক্ষক দিয়ে শুরু
১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের ‘ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপে’ যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ সদস্য৷ সেসময় ক্ষমতায় ছিলেন সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ৷ পরের বছর বাংলাদেশ পুলিশ এবং ১৯৯৩ সালে নৌ ও বিমানবাহিনী মিশনে যোগ দেয়৷
৪০ দেশে এক লাখ চল্লিশ হাজার সেনা
১৯৮৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিশ্বের ৪০টি দেশে ৫৪টি মিশনে বাংলাদেশের ১,৩৪,৯৪৭ সেনা ও পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন৷ জাতিসংঘের মিশনে সেনা পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম৷
বর্তমানে নিয়োজিত প্রায় দশ হাজার সদস্য
বর্তমানে ১৫টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় দশ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় তিন হাজার সদস্যের অবস্থান কঙ্গোতে৷ ছবিতে সেদেশে নিযুক্ত এক বাংলাদেশি সেনাকে দেখা যাচ্ছে৷
রাজনৈতিক দলের সমর্থন
বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে অনেক বিষয়ে মতভেদ থাকলেও সামরিক বাহিনীর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকে উভয় পক্ষই পুরোপুরি সমর্থন করছে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা৷ বাংলাদেশের কাছে বিষয়টি জাতীয় গর্বের ব্যাপার৷
অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশ৷ আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিশনে দায়িত্বে থাকাকালে একজন সদস্য মাসে এক হাজার মার্কিন ডলারের মতো আয় করেন, যা বাংলাদেশে গড় বেতনের চেয়ে অনেক বেশি৷ এই অর্থ সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে৷
নিহত ১২৪ সদস্য
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শান্তিরক্ষা মিশনে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১২৪ সদস্য নিহত হয়েছেন৷ এদের মধ্যে দশজন পুলিশ সদস্যরা, বাকিরা সবাই সামরিক বাহিনীর সদস্য৷