1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশ যেতে দেয়া হলো না অভিষেকের স্ত্রীকে

৬ জুন ২০২৩

দুবাই যাচ্ছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের স্ত্রী রুজিরা। বিমানবন্দরে তাকে আটকে দেয়া হলো। ইডি দপ্তরে ডাকা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4SESs
অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্ত্রীকে দুবাই যেতে দিল না ইডি।
অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্ত্রীকে দুবাই যেতে দিল না ইডি। ছবি: Satyajit Shaw/DW

সোমবার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ভাইপো অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু অভিবাসন দপ্তর তাকে যেতে দেয়নি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও দুবাইয়ের বিমান ধরতে পারেননি তিনি।

অভিবাসন দপ্তর জানিয়েছে, রুজিরার নামে লুক আউট নোটিস জারি করা আছে। তাই তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। পরে জানা যায়, আগামী বৃহস্পতিবার ইডি অফিসে যেতে হবে রুজিরাকে। সেই নোটিস তাকে দেয়া হয়েছে। কয়লাকাণ্ড নিয়ে তাকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হবে।

কয়লা-পাচারকাণ্ডে অভিষেক-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী মলয় ঘটককেও জেরার জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। তাকে ১৮ জুন ডাকা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ

অভিষেকের স্ত্রীকে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বলেন, ‘'ওরাই ভাল করে বলতে পারবে।'' তারপর মমতা বলেন,  "রুজিরা পঞ্জাবি মেয়ে। মা খুব অসুস্থ।” তার দাবি, "সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, যদি কখনও বাইরে যায়, ইডিকে জানাতে হবে। রুজিরা ইডিকে অনেক দিন আগেই জানিয়েছে। তখনই ইডি মানা করতে পারত। কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে  হাতে নোটিস ধরিয়ে বলা হলো, ইডি অফিসে আসতে হবে। এটা তো অমানবিক।”

মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার সেই সফর বাতিল করা হয়েছে। মূলত করমণ্ডল ও সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে প্রচুর বাঙালি যাত্রীর মৃতদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তার জন্যই তিনি কলকাতায় থেকে গেলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তৃণমূলের দাবি

তৃণমূলের একাধিক নেতা বলেছেন, অভিযেক এখন নবজোয়ার যাত্রা করছেন। সেখানে বিপুল সাড়া পাচ্ছেন। সেই নবজোয়ার যাত্রা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই এই সব করছে বিজেপি।

বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার অভিযোগ করেছিলেন, রুজিরা বিদেশ থেকে বেআইনিভাবে সোনা নিয়ে এসেছিলেন।

তার জবাবে অভিষেক বলেছেন, ''বিমানবন্দরে পাঁচশটি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। তার ফুটেজ দেখা হোক। দুই কিলো সোনা দূরে থাক, দুই গ্রাম সোনাও কখনো নিয়ে আসেননি রুজিরা।''

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)