1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদায়ী বছরের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার খতিয়ান

আবদুস সাত্তার২২ ডিসেম্বর ২০০৬

দুই হাজার ছয় সালের ফুটবল মানেই ছিল গ্রীস্মে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা৷ চার সপ্তাহ ধরে এই প্রতিযোগিতা চলাকালে বিশেষ করে জার্মান জাতীয় ফুটবল দল জনসাধারণের মন জয় করে এবং তাদের মাঝে ব্যাপক উত্ সাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করে৷ দুই হাজার ছয় সালের ফুটবল তথা বিশ্বকাপ ফুটবল প

https://p.dw.com/p/DPaB
ছবি: AP

্রতিযোগিতার একটা সংক্ষিপ্ত খতিয়ান৷

১৯৫৪, ১৯৭৪ ও ১৯৯০ এর পর দুই হাজার ছয় সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় জার্মানি চতুর্থবারের মত শিরোপা অর্জনের আশা করেছিল আর এটাই ছিল জার্মান ট্রেইনার ইয়্যুর্গেন ক্লিন্সমান এর লক্ষ্য৷ ক্লিন্সমান বলেন, নিজেদের দেশের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় আমরা শিরোপা অর্জনের লক্ষ্যে লড়াই করে যাব শেষ পর্যন্ত৷

হ্যাঁ, জার্মনি সত্যিই শেষ পর্যন্ত লড়াই করে সারা বিশ্ব থেকে আসা লক্ষ লক্ষ ফুটবল ভক্তকে মাতিয়ে তোলে স্টেডিয়ামে গোটা মাস জুড়ে৷ টেলিভিশনেও লক্ষ লক্ষ মানুষ ইয়্যুর্গেন ক্লিন্সমান এর নেতৃত্বে জার্মান দলের অপূর্ব খেলা উপভোগ করেন৷ ক্লিন্সমান জার্মান টীমের খেলোয়াড়দের যেভাবে উজ্জীবিত করেন তা লক্ষ্য করা যায় তাঁদের পারফরম্যান্সে৷ জার্মানি অসাধারণ ফলাফল দেখায় বিশ্বকাপে-পর্তুগালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে৷ সেই বিশ্বকাপের কোন খেলায় তখনও পর্যন্ত খেলেন নি গোল রক্ষক অলিভার কান৷ কিন্তু এই খেলায় অংশ গ্রহণ করেন তিনি এবং অনবদ্য খেলা খেলেন৷ তিনি বলেন, এটাই ছিল আমার জীবনের শেষ প্রীতি খেলা৷ আমার মনে হয় শেষ খেলাটি এর চেয়ে আর ভাল হতে পারতো না কিছু৷

ফেভারিট ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে তাদের অগণিত শ্রোতাকে হতাশ করেছে৷ তারা তাদের স্বাভাবিক খেলাই খেলতে পারে নি গোটা টুর্ণামেন্টে৷ প্রথমদিকে ভাল খেলতে পারে নি ইতাল এবং ফ্রান্সও৷ কিন্তু পরে ভাল খেলেই দল দুটি ফাইনালে উঠতে সক্ষম হয়৷ আর ইতালি বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে৷ ফাইনালে ফরাসী ক্যাপ্টেন জিদান ও ইতালির মাতেরাজ্জি এর মধ্যে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা সত্বেও জিদানকে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত করা হয়৷

জার্মান বিশ্বকাপে গোল হয় খুব কম৷ এর সমালোচনা করেন বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার সাংগঠনিক কমিটির প্রধান জার্মানির ফ্রান্জ বেকেনবাওয়ার৷ তিনি বলেন, পঞ্চাশ বছর আগে জার্মানির তদানীন্তন ফুটবল ট্রেইনার সেপ হ্যারব্যার্গার বলেছিলেন, কেউ যদি গোল পোস্টে শট করতে না পারে তাহলে গোল হবে কি করে? এবং আমার মনে হয় এই প্রতিযোগিতায় আগের যেকোন বিশ্বকাপের তুলনায় সবচেয়ে কম গোল হয়েছে৷ জানি না কেন?

সে যাই হোক, জার্মানি সারা বিশ্ব থেকে আগত লক্ষ লক্ষ ফুটবল অনুরাগীর কাছে সুনাম অর্জন করেছে অতিথি পরায়ণ দেশ হিসেবে৷ জার্মানি গর্ব করতে পারে সবচেয়ে সফল বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের জন্য৷