1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

বিতর্কিত বিচারবিভাগীয় সংস্কারের পথে ইসরায়েল

২৫ জুলাই ২০২৩

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পাশ হয়েছে বিচারবিভাগীয় সংস্কারের প্রস্তাব। দেশজুড়ে শুরু প্রতিবাদ।

https://p.dw.com/p/4UKfp
ইসরায়েলে বিচারবিভাগীয় সংস্কার
ছবি: MENAHEM KAHANA/AFP/Getty Images

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলে এখন অতি দক্ষিণপন্থি এবং রক্ষণশীলদের সরকার চলছে। সম্প্রতি তারা স্থির করেছে, বিচারবিভাগের ক্ষমতা কমাতে হবে। এবং সেই মতো পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। পার্লামেন্টে প্রাথমিকভাবে যে ভোটাভুটি হয়েছে, তাতে আদালতের ক্ষমতা কমবে। কিন্তু নেতানিয়াহু সরকারের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। বস্তুত, সোমবার পার্লামেন্টে এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরেও নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

কী আছে প্রস্তাবে

নেতানিয়াহু ও তার অনুগামীদের বক্তব্য, ইসরায়েলের আদালত আইনের ফাঁক দেখিয়ে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিতে পারে। জনপ্রতিনিধিদের সেখানেই আপত্তি। তাদের দাবি, পার্লামেন্টের প্রতিনিধি হওয়ার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হয়। অর্থাৎ, তারা জনপ্রতিনিধি। পার্লামেন্টে তারা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা জনগণের কণ্ঠস্বর। অনির্বাচিত বিচারপতিরা সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিতে পারেন না।

ইসরায়েলের ৭৫ বছর: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

বস্তুত, ইসরায়েলে কোনো সংবিধান নেই। সবটাই প্রথা ও নীতির উপর চলে। সেই প্রথাতেই এবার বদল ঘটানোর কথা বলছে পার্লামেন্ট। সোমবারের প্রাথমিক ভোটাভুটিতে ১২০ জন এমপি-র ৬৪ জন এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত যে বহাল হবে, তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই।

আপত্তির কারণ

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ইসরায়েলে সরকার চালয় দক্ষিণপন্থি এবং রক্ষণশীলরা। ফলে বহু প্রগতিশীল বিষয় তারা আটকতে চাইবে। আগে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া যেত। এবার সেই রাস্তা বন্ধ হতে চলেছে। এলজিবিটিকিউ-য়ের মতো বিষয় এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যার মুখে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।

বস্তুত, নরওয়ে এবং হাঙ্গেরির সঙ্গে এই সিদ্ধান্তকে তুলনা করছেন তারা। সেখানেও রক্ষণশীল সরকার বিচারবিভাগের অধিকার খর্ব করেছে। ইউরোপের ভিতরেও এবিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হয়। ইসরায়েলও সেই পথে হাঁটছে বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। প্রতিবাদে দেশজুড়ে আরো বড় আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলছেন তারা।

সেনা বাহিনীর বিক্ষোভ

ইসরায়েলে সমস্ত ব্যক্তিকে পড়াশোনা শেষ করার পর কিছুদিন বাধ্যতামূলকভাবে সেনায় কাজ করতে হয়। কিন্তু রক্ষণশীল চার্চের কিছু ব্যক্তি এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পান। আদালত এর বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু নতুন আইনে ওই ব্যক্তিরা ছাড় পাবেন। এর প্রতিবাদে বিমানবাহিনীর একটি অংশ চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রায় একহাজার সেনার ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন নিয়ম বহাল হলে তারা কাজ থেকে ইস্তফা দেবেন। সেনাবাহিনীর অন্য অংশগুলির মধ্যেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হচ্ছে। নেতানিয়াহু বিষয়টিকে কীভাবে সামলান, সেটাই এখন দেখার।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)