1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির গণ-অবস্থানের দিন আ.লীগেরও পাল্টা কর্মসূচি

৯ জানুয়ারি ২০২৩

১১ জানুয়ারি বিএনপির গণ-অবস্থানের দিনও ঢাকায় পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামীলীগ৷ সেদিন সকাল থেকে ওয়ার্ডগুলোতে নেতা-কর্মীদের মিছিল ও ‘সতর্ক পাহারায়' থাকতে বলা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/4LtL9
ছবি: Mortuza Rashed/DW

এর আগে ১০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত বিএনপির গণসমাবেশ এবং ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের দিনও আওয়ামী লীগ সমাবেশ ও মিছিল নিয়ে মাঠে ছিল৷ তবে এ দফায় আক্রমণাত্মক নয়, বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য মাঠে থাকার নির্দেশনা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে৷ 

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র জানায়,  ১১ জানুয়ারি বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচি ঢাকাসহ সারা দেশে৷ তবে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে ঢাকার কর্মসূচিকে৷ এ জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ মিরপুরে এবং মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ দুটি সমাবেশই হবে দুপুরের পর৷ এর আগে সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় জমায়েত হবেন এবং মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসবেন৷ দুটি সমাবেশেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তৃতা করার কথা রয়েছে৷ এসব কর্মসূচি সফল করতে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছেন মহানগর নেতারা৷ তবে উত্তরের সমাবেশটি মিরপুরের ন্যাশনাল কলেজ নাকি বাংলা কলেজের সামনে হবে, সেটিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷

মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, অনেকটা ৩০ ডিসেম্বরের মতো রাজপথে উপস্থিতি রাখতে চান তারা৷ বিএনপির জমায়েত বড় না হলে কিংবা বিএনপি টানা অবস্থানের দিকে না গেলে আওয়ামী লীগ স্বাভাবিক মিছিল-সমাবেশ করবে৷ পরিস্থিতি ভিন্ন হলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির অতীত কর্মকাণ্ড আমাদের সতর্ক অবস্থান নিতে শিক্ষা দিয়েছে৷ তারা যখনই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত হয়ে যাবে৷ ১১ জানুয়ারিও আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে থাকবে৷'

বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে নির্দেশনা দিতে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা হয়েছে৷ এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন৷ এর বাইরে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আলাদা করে কথা বলেছেন মহানগরের নেতাদের সঙ্গে৷ এর আলোকে ১১ জানুয়ারি (বুধবার) বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির দিন নিজেদের কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে৷ 

আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকেবলা যায় ‘সতর্কতা'৷ এর মাধ্যমে বিএনপিকে কিছুটা চাপে রাখাও লক্ষ্য৷ ১৪ জানুয়ারি ঢাকা সফরে আসছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু৷ ফলে এর আগে সরকার ঝামেলায় জড়াতে চায় না৷ আবার বিএনপিকে রাজপথে বড় কিছু করতেও দেওয়া হবে না ৷ 

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকা গণমিছিল কর্মসূচির দিন ঢাকা মহানগর উত্তর  আওয়ামী লীগ ‘সতর্ক পাহারার' নামে রাজধানীর ১১টি স্থানে সমাবেশ-মিছিল করেছে৷ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ভাগ হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন৷ ৩০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি বড় কোনো কর্মসূচি পালন করেনি৷  এ সময় আওয়ামী লীগেরও রাজপথে কোনো কর্মসূচি ছিল না৷ আগামীকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস৷ ওই দিন আওয়ামী লীগের প্রায় সব কর্মসূচিই ঘরোয়া৷ পরদিন বিএনপির গণ-অবস্থানের দিন রাজপথে কর্মসূচি দিয়েছে দলটি৷ এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে চাপে রাখার কারণে দলটি ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে পারেনি৷ একই কৌশল ৩০ ডিসেম্বরও কাজে লেগেছে৷ এখন পর্যন্ত যে নির্দেশনা, তাতে ভবিষ্যতে বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ৷

এনএস/কেএম (প্রথম আলো)