1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিএনপি-র জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে’

১৮ জুন ২০১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে চাপানউতোর৷ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-র বক্তব্য৷ প্রবল নিম্নচাপ আর তার প্রতিক্রিয়া৷ আজকের সংবাদপত্র আর সংবাদমাধ্যমের প্রধানখবর৷

https://p.dw.com/p/11eZU
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামছবি: Samir Kumar Dey

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে আওয়ামী লীগ

আজ সবকটি সংবাদপত্রের প্রধান খবর বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংসদ বা বাইরে যে কোনো স্থানে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম৷ আওয়ামী লীগ এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চায় না - এ কথা উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল জানান, তাঁরা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন৷ তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে খালেদা জিয়া আলোচনা করবেন৷ সংসদে বা সংসদের বাইরে যেখানেই হোক আমরা আলোচনায় প্রস্তুত৷ বিএনপি চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হবে৷ প্রয়োজনে আগামীকালের মধ্যেই চিঠি পাঠানো হবে৷ বলেছেন আশরাফুল৷ বিএনপি আলোচনায় না এলে আদালতের রায়ের আলোকে সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচনে যাওয়া হবে - এ কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তখন খালেদা জিয়া বিরোধিতা করতে পারবেন না৷ এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হবে৷ শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম৷

আন্দোলনের পথ ছাড়বে না বিএনপি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার দাবিতে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে উল্লেখ করে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শনিবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে৷ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে৷ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি আজ শনিবার জানানো হবে৷ এর আগে গত ১২ ও ১৩ জুন একই দাবিতে হরতাল এবং 'পুলিশি নির্যাতনের' প্রতিবাদে ১৫ ও ১৬ জুন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও তাদের শরিক দল জামায়াতে ইসলামী৷

নিম্নচাপের প্রভাবে ছয় জেলা প্লাবিত

নিম্নচাপের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় ছয় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে৷ কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বাগেরহাট ও খুলনা জেলায় জোয়ারের পানি তিন থেকে ছয় ফুট বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে৷ কক্সবাজার, ভোলা ও বরগুনায় বেশ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে৷ বাগেরহাটে বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে৷ নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে এসব স্থানে৷ বয়ে গিয়েছে ঝড়ো হাওয়া৷ কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ এ বিষয়ে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ থেকে জানা গেছে, কক্সবাজার: সদর, চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকা অন্তত ৩ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে৷ শতাধিক গ্রামে পানি ঢুকেছে৷ এতে কাঁচা ঘরবাড়ি, ফসল, পানের বরজ ও চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷

সংকলন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই