বায়োনটেকের টিকা নতুন স্ট্রেইনকেও আটকাবে
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১রোববারই দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছিল, তারা সে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখবে। কারণ, করোনার নতুন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে ওই ভ্যাকসিন কাজ করছে না। সোমবারই একটি মেডিক্যাল জার্নালের পিয়ার রিভিউয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় যে দুইটি নতুন করোনার স্ট্রেইন এখন সংক্রমিত হচ্ছে, বায়োনটেক-ফাইজারের টিকা তার সঙ্গে লড়াই চালাতে সক্ষম। অন্য দিকে, জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে তিনটি টিকাকে এখনো পর্যন্ত ছাড়পত্র দিয়েছে, তার প্রতিটি কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী।
করোনার নতুন স্ট্রেইন নিয়ে এখনো নানা গবেষণা চলছে। প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, সাধারণ করোনা ভাইরাস থেকে নতুন স্ট্রেইন অনেক দ্রুত ছড়ালেও সেটি অতিরিক্ত ক্ষতিকর নয়। বিভিন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাও জানিয়েছিল, নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গে লড়াইয়ে সক্ষম তাদের ভ্যাকসিনগুলি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গবেষণা রিপোর্ট বলছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য। দুই হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা চালিয়ে ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছে। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন এ কথা জানিয়েছে।
অন্য দিকে, সোমবার জার্নাল নেচার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বায়োনটেক-ফাইজারেরভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেইনের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। তবে একই সঙ্গে সেখানে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের চরিত্র দ্রুত বদলাচ্ছে। ফলে এখন যে টিকাগুলি তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা একই রকম কার্যকর থাকবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
এদিকে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে তিনটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে, তার প্রতিটিই কার্যকরী। তিনি জানিয়েছেন, টিকাকরণে আরো গতি আনা হবে। খেয়াল রাখা হবে, যাতে টিকা নষ্ট না হয়ে যায়। বায়োনটেকের টিকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। তা হিমাঙ্কের অনেক কম তাপমাত্রায় রাখতে হয়। স্পান জানিয়েছেন, যে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা পাওয়ার তালিকায় নাম পিছন দিকে আছে, প্রয়োজনে তাঁদেরকেও এগিয়ে আনা হবে। দ্রুত তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। খেয়াল রাখা হবে, কোনো ভাবেই যাতে টিকা নষ্ট না হয়।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)