1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে ক্রিসমাস মার্কেটে নতুন ধরনের নিরাপত্তা

২৩ নভেম্বর ২০১৮

জার্মানিতে বড়দিন উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ক্রিসমাস মার্কেট বা ক্রিসমাসের বাজার৷ তবে এটা যদি নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে তাহলে আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়৷

https://p.dw.com/p/38mdL
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken

২০১৬ সালে বার্লিনের একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ভয়াবহ ট্রাক হামলা হয়েছিল৷ ১২ জন নিহত হয়েছিলেন ওই হামলায়৷ এ কারণে সেসব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে৷ এ বছর ক্রিসমাস মার্কেটে ঢোকার প্রতিটি প্রবেশমুখে থাকবে তল্লাশির ব্যবস্থা৷

জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেট একদিকে যেমন নিজেদের সংস্কৃতি, সম্প্রদায় ও এলাকাভিত্তিক গৌরবের অংশ, তেমনি এই মার্কেট সব বয়সি মানুষকে তাদের শৈশবের আস্বাদ দেয়৷ আর এ কারণেই ২০১৬ সালের ঐ হামলা জার্মানদের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে৷

এ বছর প্রত্যেকটি শহরের পুলিশ বাহিনী সব ধরনের হামলা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থায় থাকবে৷ সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা থাকবে রাজধানী বার্লিনে৷ যে ক্রিসমাস মার্কেটে হামলা হয়েছিল, এবার সে এলাকাটির নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বালি ও পাথরের বস্তা এবং বাঁশের খুঁটি দিয়ে সব প্রবেশ পথে বিশেষ কাঠামো বানানো হয়েছে৷ ফলে একসাথে অনেক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না৷ যানবাহনও ঢুকতে পারবে না৷

মার্কেট যতক্ষণ খোলা থাকবে, ততক্ষণ টহল দেবে বিশেষ বাহিনী৷ ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে থাকবে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা৷ কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, এ বছর যেভাবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের হামলা মোকাবেলায় সহায়ক হবে৷ একটি ব্রিটিশ কোম্পানি ব্যারিকেড সরবরাহ করছে৷ ব্যারিকেডগুলো যে কোনো ধরনের সামরিক ইনস্টলেশন প্রতিরোধ করতে পারে এবং ক্রিসমাস মার্কেট শেষ হওয়ার পরও তা ব্যবহার করা যাবে৷

তবে স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, এত বেশি নিরাপত্তা ও তল্লাশি এবারের ক্রিসমাস মার্কেটের আনন্দ অনেকটাই কমিয়ে দেবে৷ অন্যদিকে, স্থানীয় গির্জার যাজক মার্টিন গ্রেমের মনে করেন, এ ধরণের নিরাপত্তার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে৷

আলিস্টায়ার ভাল্স/এপিবি